শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফের বিস্ফোরক সঙ্কটে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফের বন্ধ হয়ে গেলে দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ কঠিন শিলা খনি মধ্যপাড়ার পাথর উত্তোলন। খনির ভুগর্ভে পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক (এক্সপ্লোসিভ) সংকটে পড়ে দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি। শীঘ্রই উৎপাদন শুরুর কোন সম্ভাবনা নেই। ঈদের ছুটি শেষে গত বৃহস্পতিবার উৎপাদন শুরু করার মত প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক ( ডেটোনেটর, কট, জেলসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক মালামাল) না থাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য শ্রমিক-কর্মচারিদের ছুটি দিয়ে দেয় জিটিসি। গত ৩০ এপ্রিল খনি শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়। এর আগে এ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকটে পড়ে গত ১২ মার্চ উৎপাদন বন্ধ হয় এবং ২৭ মার্চ চালু হয়েছিল।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া খনিতে বছরে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার এ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান- বিস্ফোরক আমদানীর জন্য তিনদফা দরপত্র আহবান করেও কেউ দরপত্র শিডিউল পর্যন্ত ক্রয় করেনি। তাছাড়া সরকারি নানা নিয়ম মেনে আমদানি করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া লেগে যায়। পেট্রোবাংলার সহায়তায় ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিস্ফোরক নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। এদিকে, বার বার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় জিটিসি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাথর উৎপাদন করতে ব্যর্থ হবে এবং বড় ধরণের লোকসানের মুখে পড়বে। অপরদিকে সরকার প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাবে এবং খনিটিও আবার লোকসানের মুখে পড়বে বলে একটি সুত্রের দাবি। এ বিষয়ে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এডিএম ফরিদুজ্জামানের সঙ্গে গত বৃহম্পাতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বার বার ফোন দিয়ে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমজিএমসিএল -এর মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) মো. পিনাক ইকবাল পাথর উৎপাদন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল শুক্রবার সকালে জানান, খনির পাথর কাটার কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। বৈশি^ক নানা কারণে সময়মত তা আমদানি করা যায়নি। তবে খুব শিগগির তা নিয়ে আসা হবে। অপরদিকে পার্বতীপুরের উত্তরের জেলাগুলোর চেয়ে পার্বতীপুর উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা এখানে জাতীয় সব পত্রিকার সাংবাদিক নিয়োজিত রয়েছে। সম্প্রতি সাংবাদিকরা মধ্যপাড়া এমডিসহ সকল কর্মকর্তাকেও তথ্যের বিষয়ে ফোন দিলেও কেউ ফোন ধরে না এমনকি সাংবাদিকদেরকে খনির উন্্নয়নমুলক কোন সংবাদ দিতে অনিহা প্রকাশ করে থাকে। এ বিষয়ে জ্বালানী ও খনিজ মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন