শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফিরতি টিকিট পেতে যাত্রীদের ভোগান্তি

ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা গাঁও গেরামে এখন বিষাদের সুর

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঈদের ছুটি শেষে এখন শুরু হয়েছে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা। দীর্ঘ দু’বছর পর স্বজনদের কাছে পেয়ে ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল রাজশাহী অঞ্চলের গাঁও গেরামের মানুষ। ক’টাদিন যেন আনন্দের ফোয়ারা বইছিল। এখন স্বজনদের বিদায়ে বাজছে বিষাদের সুর। গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। বিশেষ করে চাকুরীজীবীরা। লম্বা ছুটি থাকায় আসার সময় বাস ট্রেনের টিকেটের তেমন বিড়ম্বনা পোহাতে না হলে যাবার সময় টিকেট নিয়ে চলছে হয়রানী। কাংঙ্খিত টিকেট না পেয়ে অনেকে পরিবার পরিজনকে গ্রামে রেখে নিজেরা চলে আসছেন। পরিবহনের চাপ কিছুটা কমলে তারা ফিরবে।

এবার যাবার টিকেট নিয়ে ট্রেন বাস সর্বত্র তেলেসামাতি কারবার। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনের টিকেট পায়নি। বিশেষ করে রাজশাহী ঢাকা সরাসরি যাতায়াতকারী ট্রেন বনলতায় টিকেটের জন্য দৌড় ঝাপ। অন্য আন্ত:নগর ট্রেন সিল্কসিটি, পদ্মা, ধুমকেতুর টিকেট যেন সোনার হরিণ। যাত্রীদের দাবী ছিল আন্ত:নগর ট্রেনগুলোর দু’চারটা করে বগি জুড়ে দেবার। তাহলে চাপ কিছুটা হলেও সামাল দেয়া যেত। রেলকর্তৃপক্ষের জবাব তাদের কাছে অতিরিক্ত বগি নেই। ফলে যা আছে তাই দিয়ে সার্ভিস দেয়া হচ্ছে।

ঢাকাগামী বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় তাদেরও টিকেট শেষ। আগামী কয়েকদিন টিকেট বুকিং হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের টিকেট নেই। টিকেট না পাওয়া যাত্রীদের ভরসা জোড়াতালি দেয়া লক্কর ঝক্কর বাস। সবচেয়ে বেশী পেরেসানী সরকারী বেসরকারি চাকুরীজীবীদের।

এদিকে বড়দের কর্মস্থলে ফেরার তাড়া থাকলেও কলেজ বিশ্ববিদ্যায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অত তাড়া নেই। ঈদের আগে এখানকার তীব্র তাপাদহ তাদের চলাফেরায় খানিকটা ছন্দপতন ঘটালেও ঈদের দিন থেকে দুদিন ভারী বর্ষন হওয়া তপ্ত মাটি সিক্ত হয়েছে। প্রকৃতিতে এসেছে সজীবতা। এমন আবহাওয়ায় তারা ডানা মেলেছে মুক্ত বিহঙ্গের মত। ছুটে বেড়িয়েছে এখানে ওখানে। এখনো তা চলছে। তরুন তরুনীরা মুখরিত রেখেছে আশেপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে। হাজারো মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিল শহর গ্রামের বিনোদন স্পটগুলো।

শুধু কি বিনোদন স্পট। আম লিচুর বাগানে ঘোরাঘুরি। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ বোরো ক্ষেতের সামনে দাঁড়িয়ে বুক ভরে শ্বাস নেয়া সবই চলেছে। আর সেলফি তোলার সে রকম ব্যস্ততা ছিল নজরে পড়ার মত। সেগুলো ইচ্ছেমত পাঠিয়েছে বন্ধু বান্ধবীদের কাছে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদ আনন্দের আমেজটা ছিল অন্যরকম। বিদায়ের সময় গ্রামে থাকা স্বজনরা চোখ ভেজা নয়নে বলছেন ভাল থাকিস। সাবধানে যাস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন