সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদের নিকটতম আল হারমোলিয়াহ এলাকার একটি ছাগলের খামারে প্রবাসী বাংলাদেশি আবদুর রহমানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে সউদী আরবের পুলিশ। আবদুর রহমান লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামের মো. হানিফের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আবদুর রহমানের বাবা মো. হানিফ ও ভাই আবুল কাশেম সংবাদটি নিশ্চিত করেন। এর আগে ১ মে সউদী আরবের পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করলেও পরিবার সে খবর জানতে পারেনি।
সউদী আরবে অবস্থানরত স্বজনদের বরাত দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানায়, আবদুর রহমানকে খুন করে তার লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়ি চাপায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে সেখানকার মালিকপক্ষ। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এক সউদী নাগরিক ও একজন সুদানি নাগরিককে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে বলেও জানান নিহতের পরিবার। নিহতের মা লাকী বেগম জানায়, সউদী আরবে ঈদের আগের দিন বিকেল বেলায় ছেলের সাথে তার শেষ কথা হচ্ছিল। কথা বলার এক ফাঁকে হঠাৎ করে আবদুর রহমান চিৎকার দিয়ে বলে উঠে মা আজরাইল আসছে। এ কথা বলেই ফোন কেটে রেখে দেয়। এরপর এদিক থেকে বারবার ফোন দিয়েও আর তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বাড়ি থেকে পর পর দুদিন তার ফোনে যোগাযোগ করে যখন কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তখন ঘটনাটি তিনি তার মেয়ের জামাই সউদী প্রবাসী মো. ইউছুপকে জানায়। পরে ইউছুপ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আবদুর রহমানের সাথে তার সুদানি এক সহকর্মীর ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার একদিন পর রহমানের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এঘটনায় কমলনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. সোলাইমান জানান, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, খোঁজ নিয়ে লাশ দেশে আনার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারকে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন