দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে পাড়ি দিতে হয় এই পথ। এক সময়ে জাহাজ নির্মাণের জন্য বিখ্যাত সন্দ্বীপ। যুগের পরিবর্তন হলেও সেই সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে নৌ-যাতায়াতে পোহাতে হয় নানা বিড়ম্বনা। সাতটি ফেরিঘাট থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ পারাপার হয় গুপ্তছড়া-কুমিরা ঘাট দিয়ে। যেখানে নেই সরকারি কোনো নৌ যান। যাত্রীদের উঠানামায় নেই কোনো সুব্যবস্থা। যাত্রীদের কোমর পানিতে নামিয়ে দেয়া হয়। লাইফ জ্যাকেট থাকা সত্ত্বেও সবসময় যাত্রীদের দেয়া হয় না। রোগীদের জন্য সি-অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও একদিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়া, বকশিসসহ চলছে নানা রকম হয়রানি। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল লালবোট ডুবে প্রাণ হারিয়েছে সন্দ্বীপের ১৮টি তাজা প্রাণ। গত ২০ এপ্রিল ২০২২ এ নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আরো ৪ জনের। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। যেন অনিয়মগুলো দেখার কেউ নেই। তাই সন্দ্বীপের সাড়ে চার লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে স্থায়ী ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নজরুল নাঈম
সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন