রাজধানীর বনানী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন শেখ সোয়েব সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি মার্কিন নাগরিক বলে জানা গেছে। তার স্বজনদের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার ও স্ত্রী সাবরিনার দেওয়া মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে গত ৩০ এপ্রিল তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসেও জানানো হয়েছে।
সাজ্জাদের বড় ভাই শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদের অভিযোগ শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর সাজ্জাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল স্ত্রী সাবরিনা। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন-টাকা রেখে দেওয়া হয়। পাসপোর্ট ও টাকা-পয়সা হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন সাজ্জাদ। বারবার পাসপোর্ট ও মোবাইল ফেরত চেয়েও পাননি। মামলায় সাজ্জাদের স্ত্রী সাবরিনা শারমিন এবং স্ত্রীর প্রেমিক কাজী ফাহাদকে আসামি করা হয়েছে। মার্কিন নাগরিক সাজ্জাদের মৃত্যুর ঘটনাটি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসকে জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে সাবরিনা শারমিনের সঙ্গে আমেরিকান নাগরিক শেখ সোয়েব সাজ্জাদের বিয়ে হয়। এরপর আমেরিকাতে তারা বসবাস করছিলেন। ২০১৮ সালের মে মাসে সাজ্জাদকে রেখে সাবরিনা বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর রাজধানীর ওয়ারীর ১৯/১ ওয়ারস্ট্রীট রোডের বাসার পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকেন। পাশের বাসার কাজী ফাহাদ নামে এক ছেলের সঙ্গে সাবরিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাবরিনার প্রেমিক ফাহাদ সবসময় সাবরিনার বাসায় যাতায়াত করতেন।
এনিয়ে সাজ্জাদের সঙ্গে সাবরিনার ফোনে কথা কাটাকাটি হয় এবং মনোমালিন্য হয়। একই বাসার নিচতলায় সাজ্জাদের ভাই, বাবা ও মা থাকতেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে সাবরিনার যোগাযোগ ছিল না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা পছন্দ করতেন না সাবরিনা। গত ১৬ মার্চ সাজ্জাদ আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর স্ত্রী সাবরিনাকে সঙ্গে নিয়ে বনানী ডিওএইচএস মসজিদ রোডের ১০৫ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন। শ্বশুরবাড়িতে ওঠার পরপরই সাজ্জাদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এস আই শ্যামল আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় বেশি কিছু বলতে পারব না। মামলার ২ নম্বর আসামি ফাহাদ গ্রেফতার আছে। আমরা রিমান্ডের জন্য আদালতে অনুমতি চেয়েছি। রিমান্ডে পেলে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন