শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অলস সময় কাটাচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা

চাঁদপুরে ইলিশের আকাল

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরে আড়ৎগুলো এখন ফাঁকা। ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের পর ইলিশ ধরা পড়লেও এ বছর নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। যে কারণে সরগরম থাকা ইলিশের আড়ৎগুলোতে এখন সুনসান নিরবতা।

গত শুক্রবার বিকেলে মাছঘাটে দেখা গেছে ঘাটে মাছের ট্রলার নেই। শ্রমিকদের সংখ্যাও খুব কম। মাত্র কয়েকটি আড়তে বসে আছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। সামান্য সংখ্যক ইলিশ নিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন তারা। অন্যান্য প্রজাতির মাছের আমাদানি না থাকায় কোনো খুচরা ব্যবসায়ীর দেখা মিলেনি। ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা সোলাইমান বলেন, অধিকাংশ আড়ৎ বন্ধ। কয়েকটিতে স্বল্প সংখ্যক ইলিশ আছে। দাম খুব বেশি। যে কারণে ইলিশ কিনতে পারেনি।

মেসার্স তাজুল ইসলাম ভুঁইয়া আড়তের ব্যবসায়ী দিদার হোসাইন বলেন, ইলিশের আমদানি কম থাকায় ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলা থেকে আমদানী করা বড় সাইজের কয়েকটি ইলিশ বিক্রির জন্য বসে আছেন। প্রতিটি ইলিশ ওজনে দুই থেকে আড়াই কেজি। প্রতি কেজির মূল্য ২৫০০ টাকা। মেসার্স মিজানুর রহমান কালু ভুঁইয়া মৎস্য আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ইলিশের আমদানি খুবই কম। গতকাল নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর থেকে ট্রাকে করে এবং চাঁদপুরের লোকালসহ সবগুলো আড়ৎ মিলিয়ে ১৫-২০ মণ ইলিশ আমদানী ও বিক্রি হয়েছে। ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০ হাজার টাকা মণ। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ৭০ হাজার টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকা এবং আড়াইশ থেকে ৪০০’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শবে বরাত বলেন, আমাদের লোকাল পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ নাই বললেই চলে। স্থানীয় ইলিশ খুব কম সংখ্যক আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিন ১০-২০ কেজি ইলিশ বিক্রির জন্য আসে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা। ৭০০- ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা।


তিনি আরো বলেন, আমাদের আড়ৎগুলোতে মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম ও হাতিয়া থেকে কিছু ইলিশ আমদানি হয়। এখন ইলিশের মৌসুম পুরোপুরি না। যার কারণে ইলিশ নেই। সামনে ভরা মৌসুমে আশা করছি জেলেরা ইলিশ পাবে। তখন আমদানিও বাড়বে। তখন আড়ৎগুলো জমজমাট হয়ে উঠবে এবং ক্রেতারা কমদামে ইলিশ ক্রয় করতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন