মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্যা দক্ষিণ কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার প্রতিবেদন নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল রোববার সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, মামলার হওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না। ইতিপূর্বেও এ শিক্ষককে স্কুল ফাঁকির অভিযোগে শোকস করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা থাকলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার রাইল্যা দক্ষিণ কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. বারেক (বারী মাস্টার)। সে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের মৃত মুন্নাফ মিয়ার পুত্র। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা গৃহবধূ বাবার বাড়িও রাজৈর গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ একজন স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা। পিতার বাড়িতে থাকা অসহায় জীবন যাপন করে। অভিযুক্ত উপজেলার রাইল্যা দক্ষিণ কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. বারেক (বারী মাস্টার) গ্রামের বাসিন্দা এই সুযোগে যাওয়া আসার পথে বাদিকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেয় ও রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কুপ্রস্তাব দিতো। গৃহবধূ এতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন রাতে আসামি গৃহবধূ বাবার বাড়ির ঘরের দরজা খিল ভেঙ্গে প্রবেশ করে গৃহবধূকে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে এলাকার লোকজন জমা হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আ. বারেককে আটক করে বেধে রাখে। পরে তার লোকজন জোর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী গৃহবধূ জানায়, রাইল্যা দক্ষিণ কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. বারেক (বারী মাস্টার) তাকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কুপ্রস্তাব দিতো। ঘটনার দিন রাতে তার ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। এ সময় স্থানীয় জনতা বারী মাস্টকে আটক করে বেধে রাখে। অভিযুক্ত শিক্ষক বারী মাস্টারের উপযুক্ত সাজা দাবি জানায় সে। সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, মামলার হওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না।
ইতিপূর্বেও এ শিক্ষককে স্কুল ফাঁকির অভিযোগে শোকস করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা থাকলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বরখাস্ত করা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানার এসআই মোক্তার জানান, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার আলামত পরিক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ স্বীকার করেছে তাকে ধর্ষণের করেছে। ঘটনার সত্যা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন