ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় বাসা থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কিশোরের নাম নদী দাস। তার বাবার নাম মৃত জগত জগদিশ দাস এবং মায়ের নাম রুমা দাস। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা এলাকায়। গত শনিবার রাত ১২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জিয়ানগরের আনিসুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে নদী দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত নদী দাস তার মা বাবার সাথে ওই ভাড়াটিয়া কক্ষে বসবাস করত। গত ৫ রমজান নদীর দেশের বাবা জগদীশ দাস মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত নদী দাস এর সাথে তার মা রুমা দাসের প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে নদীর নদীর দেশের সাথে তার মায়ের আবার ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার সূত্র ধরে তার মা নদী দাসকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘরে তাই না দিয়ে বাহিরে রেখে দেয়। তখন পাড়া-প্রতিবেশিরা মা রুমা দাসকে বুঝিয়ে কিশোরী নদী দাসকে ঘরে উঠিয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে ওই রাতেই মা রমা দাস তার একমাত্র মেয়ে নদীর দাসকে হত্যা করে ঘরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পাশের ঘরের এক ভাড়াটিয়া মহিলা ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার বিকেলে তার বাসায় ফিরে আসে। এসময় তিনি ওই ঘর থেকে প্রচুর গন্ধ পান। এই ঘটনা তিনি বাড়ির মালিক আনিসুর রহমানের ছেলে হারুনকে জানান। এতে হারুন ৯৯৯ এ কল দেন। এই কল পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মাসুদ পারভেজ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙ্গে ঘর থেকে কিশোরী নদী দাসের লাশ উদ্ধার করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মাসুদ পারভেজ জানান, যেহেতু লাশটি কয়েকদিন আগের হওয়ায় লাশটি ফুলে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন