পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেছেন, প্রথমবারের মত দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগনণা জাতীর জন্য গৌরবের বিষয়। আমরা নির্ভুল ও নিখুত ভাবে এই কাজটি করতে চাই। এটি জনগনের কাছে আমাদের কমিটমেন্ট। আশা করব এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজটিকে জাতীয় দ্বায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, সঠিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাঁইয়ের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করতে হবে। জাতি অপেক্ষা করছে জানার জন্য। তাই সবাই একত্রে শামিল হয়ে কাজ করে জাতিকে জানাবো যে, আমাদের দেশে কত জনসংখ্যা আছে । সেই সাথে আমরা সরকার প্রধানকে একটি বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যান দিতে চাই।
গতকাল ময়মনসিংহ নগরীর জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জনশুমারি ও গৃহগনণা- ২০২২ বিষয়ক মতবিনিময় কর্মশালা ও পাইলট কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন শুমারির ব্যাখ্য তুলে ধরে জানান, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা হবে। তবে পাইলট শুমারি হল প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ ধাপ। শুমারির চূড়ান্ত কার্যক্রম নিবিরভাবে পর্যবেক্ষনের জন্য আগামী ১০ থেকে ১৬ মে সপ্তাহব্যাপী ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুরসহ সারা দেশের মোট ২৮টি জেলায় একযোগে পাইলট শুমারি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন এনডিনি, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
এদিকে প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নানের উপস্থিতিতে ময়মনসিংহ নগরীর ৩নং কর্পোরেশন স্ট্রিটে জনশুমারি ও গৃহগনণার তথ্য সংগ্রহকারী জান্নাতুল মাওয়ার মাধ্যমে মো. আরিফুল হকের পরিবারের প্রথম তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন