সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাসিরনগরে তিন ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

নাসিরনগর উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর সড়কের নাসিরনগর-বুড়িশ্বর দুই সীমানার মধ্যবর্তী মহাগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজ, পাকিস্তান আমলের শ্রীঘর মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটের ব্রীজ এবং ফান্দাউক ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কের আতুকোড়া গ্রামের খালের উপরে নির্মিত ব্রীজসহ মোট তিনটি ভেঙ্গে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ মহাগঙ্গা ও মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটের ব্রীজ দুইটির রেলিং ভেঙ্গে রয়েছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মহাগঙ্গার উপর নির্মিত ব্রীজটির পশ্চিম দিকের র‌্যালিং ভেঙ্গে ব্রীজটিতে ফাঁটল ধরে গিয়েছে । মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ভাঙ্গা ব্রীজের উপর লোহার পাইল দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং ফান্দাউক-ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কের আতুকোড়া গ্রামের উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ তিনটির উপর দিয়ে মরণ ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী সাধারণ ও যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় এ ব্রীজগুলো ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে মহাগঙ্গা ও মেন্দি আলীর বাড়ীর নিকটের ব্রীজ দুটি দিয়ে প্রতিদিন হবিগঞ্জ এবং লাখাই থেকে ২০টি যাত্রীবাহী বাস জেলা শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। এছাড়াও রাস্তা দুটি দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক শত শত সিএনজি, অটোরিক্সা এবং হাজার হাজার নারী পুরুষ পায়ে হেটে যাতায়াত করে। অপরদিকে ফান্দাউক-ছাতিয়াইন সড়কের আতুকোড়া গ্রামের ভাঙ্গা বীজের উপর দিয়ে নাসিরনগর উপজেলা থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ছাতকের সাথে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। এমনকি মাঝে মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে বিকল্প মহাসড়ক হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর লাখাই ও ফান্দাউক-আতুকোড়া-ছাতিয়াইন হয়ে রতনপুর রাস্তাটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ের ভিতরে এ তিনটি ব্রীজ সংস্কার না করা হলে যেকোন সময় মৃত্যুর মতো ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন- মহাগঙ্গা ও মেন্দি আলীর বাড়ির নিকটের ব্রীজ দুটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আর আতুকোড়ার নিকটের ব্রীজটি এলজিডির অধীনে রয়েছে। আতুকোড়ার ব্রীজটির জন্য একজন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং দুই একদিনের মধ্যেই শুরু হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন