শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চুয়াডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জে বিএনপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্রাঘাতে ও পিটিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ১২:৩২ পিএম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জে কামাল হোসেনকে (৬৩) ধারালো অস্ত্রাঘাতে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের শিকার কামাল হোসেন জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ মাঝেরপাড়ার মরহুম জাহান মাস্টারের ছেলে। তিনি একজন সক্রিয় বিএনপির কর্মী ছিলেন।
সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমের সামনে তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রতিজ্ঞা নার্সিং হোমে ভর্তী করে। সেখানে তার অবস্থার উন্নতী না দেখে পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক ডা: আহসানুল হক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলেন।
নিহত কামালের স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, তার স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল একই পাড়ার মোতালেন হোসেনের ঘর জামাই স্বাধীনের। এর কারনে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যু আগে তিনি তার কাছে স্বাধীন, তাকে মেরেছে বলে জানায়।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: আহসানুল হক জানান, রাত ১২টার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যায়। তিনি আরো জানান, মৃত ব্যক্তির বাম পায়ের হাঁটুর নীচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তার ডান কান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিলো। তার মাথায় আঘাতের অস্থিত্ব পাওয়া যায়। তাছাড়া পিঠে দলানো চটকানোর দাগ দেখা যায়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন,রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে নেয়। তারপর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অজ্ঞান অবস্থায় থাকায় কামাল হোসেনের জবানবন্দী নেয়া সম্ভব হয়নি। সে জন্য কি কারনে সে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফজ্জামান শরীফ জানান, হত্যাকান্ডের শিকার কামাল হোসেন বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন