আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সব ধরনের নৌযানের মাধ্যমে যে কোন প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা মানে দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা। এক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ করা গেলে মৎস্যজীবীদেরই লাভ হবে। সরকার শুধু মৎস্যজীবী ও দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থকে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এজন্য অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে।
জানা যায়, উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে সমুদ্রগামী হালনাগাদকৃত ও নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহযোগিতা প্রদান করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন