শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজাপুরে পিটিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধার শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজাপুর উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুরের আমতলা বাজারে পিটিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম খানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রহিম। নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম খানের ছেলে শামসুল আলম প্রশাসনের কাছে তার বাবা হত্যার বিচার চেয়েছেন। তিনি ভা-ারিয়ার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের আব্দুল হক খানের ছেলে এবং ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বর্তমানে তারা দক্ষিণ ভা-ারিয়ায় বসবাস করতেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মানিক রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি’। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে তারা মানববন্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করব। প্রশাসনের কাছে দাবি অবিলম্বে যাতে এই হত্যাকারীদের বিচার করা হয়। এদিকে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছেলে শামসুল আলম খান বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু হাওলাদার ও শাহ আলমসহ নামধারী ৮ জনসহ আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে রাজাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সালাম খানের কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক মরিয়ম আক্তার মুক্তার রাজাপুরের তারাবুনিয়া গ্রামের বকুলতলায় টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আসেন তিনি। এ সময় স্থানীয় শাহ আলম ওই মুক্তিযোদ্ধার সাথে শিক্ষক মুক্তার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রথমে বকুলতলায় মারধর করা হয় এবং পরে আমতলা বাজারে নিয়ে বাচ্চু ও শাহ আলমসহ তাদের সহযোগীরা কয়েক দফায় বেধরক মারধর করা হয় এবং পরবর্তীতে রাতে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে মুক্তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস জানান, এ ব্যাপারে মামলা হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন