খুলনা ব্যুরো : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে দোকানপাট থেকে মালামাল নিয়ে টাকা না দেয়া, ব্যবসায়ীদের মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ী মো: মিলন হোসেন এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুয়েটের ভেতরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মো: সোহেল নামের এক ব্যক্তি লন্ড্রির দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। শাফায়েত হোসেন নয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই তার দোকানে বাকিতে কাপড় ধোলাই/ইস্ত্রি করিয়ে নেন। পাওনা টাকা চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিতেন। এর জেরধরে গত ৭ নভেম্বর নয়ন তার রুম তাকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং চড় থাপ্পড়সহ ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান ফেরার পর নয়ন তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। না হলে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। গত আড়াই বছরে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়াও, ক্যম্পাসের অপর ব্যবসায়ী মিলনের ছোট্ট দোকান থেকে টাকা না দিয়ে সিগারেটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তিনি নিতেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় চাঁদা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রতি মাসে দোকানের ভাড়া বাবদ ২ হাজার টাকা করে আদায় করতেন। এরপর তার সাথে গাঁজা ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায় জড়িত হতে না চাইলে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। একই সময়ে নয়ন ও তার সহযোগীরা দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নয়নের নেতৃত্বে আসিফ, আসাদুজ্জামান, শিহান মাহমুদ, দিপংকরসহ কয়েকজন গিয়ে তার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে বাধ্য হয়ে সে কুয়েট থেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে জানতে কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শাফায়েত হোসেন নয়নের ব্যবহৃত মোবাইল (০১৯১৯ ৭৭৭১২১) নম্বরে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন