বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝিনাইদহে এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিয়োগে গোড়ায় গলদ!

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা ঃ শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ অর্থের লেনদেন ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সারা দেশের মতো ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নিবন্ধিতদের নিয়োগ দেয়া নিয়ে গোড়ায় গলদ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর ও এলাকার প্রার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা শোনা গেলেও নিয়োগ দেয়ার পর এ নিয়োগ বিতর্ক ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক স্তরে বাংলা, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও সহকারী মৌলভী পদে ৭ জনকে নিয়োগ পত্র দেয় এনটিআরসিএ। এর মধ্যে শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে ২ জন এবং জিকে ইউনাইটেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলায় একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। যারা অন্যদের তুলনায় অনেক নম্বর কম পেয়েও নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় সহকারী মৌলভী পদে ১০তম নিবন্ধন ও ৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা মেহনাজ খাতুন (রোল নং ৩১৪২৮২৮৫) ও আসমা খাতুন (রোল নং ৩১৯১৫৪৮২) নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৪১ ও ৪৭। অন্যদিকে একই পদে একই উপজেলার মাসুদুর রহমান (রোল নং-৩১৪২৭৭৭৩) ১০তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ৬৬ নম্বর পেয়েও শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় নিয়োগ পায়নি। ১০তম নিবন্ধন পরীক্ষায় আব্দুল কাদের (রোল নং ৩১৪২৭২৮৮) ৬৩.৫০ নম্বর পেয়ে সহকারী মৌলভী পদে শোয়াইব নগর ফাজিল মাদরাসায় আবেদন করা সত্বেও তিনি নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। জি কে ইউনাইটেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শামিম আক্তার (রোল নং ৩০১০৫৭২৩) দশম নিবন্ধনে ৫৬ নম্বর পেয়ে বাংলার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। অন্যদিকে আসমা খাতুন ১২তম নিবন্ধনে বাংলায় ৫৮ নম্বর পেয়ে একই বিষয়ে একই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও তার নিয়োগ হয়নি। নবম নিবন্ধন পরীক্ষায় বাংলায় ৫৯ নম্বর পেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাননি সালমা খাতুন নামে অপর একজন। মাসুদুর রহমান নামে একজন প্রার্থী বলেন, বেশি নম্বর পেয়েও তার মতো অনেকেই নিয়োগ পায়নি। শুধুমাত্র অবৈধ লেনদেনের স্থান ও পাত্র পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মেধা ও যোগ্যতার কোনো মূল্যায়ণ হয়নি। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম কামরুজ্জামান জানান, যারা বেশি নম্বর পেয়েছে তাদেরই চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু মনে হয় কর্তৃপক্ষ যাদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের আগে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নিয়োগটি সঠিক হয়েছে। কারণ একজন ৩/৪ জায়গায়ও নিয়োগ পেয়েছেন। যারা এতো জায়গায় নিয়োগ পেয়েছে তারা তো সব জায়গায় চাকরি করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ওই সকল প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ প্রদান করা হতে পারে বলে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম কামরুজ্জামান মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদ আলী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, নিয়োগ স্বচ্ছ আছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন