পুকুর সংস্কার করে শুধু পাড় বাঁধানোর অনুমতি থাকলেও অন্যত্র মাটি বিক্রির কোন অনুমতি নেই প্রশাসনের। কিন্তু নাটোরে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে পুকুরের মাটি অন্যত্র বিক্রির মহোৎসব চলছে। এ নিয়ে অসুবিধায়পড়া সাধারণ মানুষ ও আবাদি জমি চাষীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ঝগড়া তর্ক ও বাকবিতণ্ডা হচ্ছে মাটি বিক্রেতাদের। খবর পেয়ে প্রশাসন মাটি উত্তোলনকারীদের জরিমানা ছাড়াও ভেকুও জব্দ করেছে। তবুও থামছে না অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনকারী ও বিক্রেতাদের দৌরাত্ম। কিছুদিন নিরব থেকে আবার মাটি সরব হয়।
জানা যায়, নাটোর সদরের জাঠিয়ান গ্রামে মৃত আরশেদ মাষ্টারের পুকুর সংস্কারের নামে চলছে মাটি বিক্রি। তার এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা খাতুন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন নাটোরের ৫ নং বড় হরিশপুর ইউনিয়নের ভূমি সুরক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মহসিন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, বড়হরিশপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জাঠিয়ানে মৃত আরশেদ মাষ্টারের পুকুর সংস্কারের নামে আব্দুল আওয়াল স্বপন ও মো. টুটুল হোসেন প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই প্রতিদিন গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। তাদেরকে নিষেধ করলে তারা হুমকি ধামকি প্রদান করে। তাছাড়া এভাবে মাটি বিক্রয়ের ফলে ট্রলি থেকে মাটি পাকা রাস্তায় পড়ে পিছল হয়ে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
মোটর সাইকেল আরোহী মামুন, সিরাজুল ও আটো রিকশাচালক বাবু, রহিদুল জানান, জাঠিয়ানের এই রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ভয় লাগে। মাটির উপড়ে বৃষ্টির পানি পড়ে কাদা হয়ে যায়। কখন যে পিছলে পড়ে হাত পা ভেঙ্গে যায় ঠিক নেই। এ ব্যাপারে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রয়ের কোন অনুমতিই নাই প্রশাসনের। যখনই এরকম অভিযোগ আসে প্রশাসন সেখানে কাজ বন্ধ করে দেয়। ভেকুও জব্দ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন