সেই আবহমান কাল থেকে এ ভূখণ্ডের বুক চিরে বয়ে গেছে শত শত নদী, উপ নদী, শাখা নদী এবং তাদের শেষ গন্তব্য হয়েছে বঙ্গোপসাগর। নদীর প্রবাহ যেমন বাড়িয়েছে ভূখণ্ডের সীমা, তেমনি করে তুলেছে ফুল, ফল, ফসলে শ্যামলা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পরপরই ভারত গঙ্গা অববাহিকার উজানে ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৯৫০-৫১ সালে ভারত যখন ফারাক্কা বাঁধের প্রাথমিক পরিকল্পনা করে তখনও এর প্রতিবাদ হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত তৎকালীন পাকিস্তানের আপত্তিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, বরং তদন্তের অধীনে থাকা সম্ভাব্য প্রভাবগুলির বিষয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগকে সম্পূর্ণরূপে অনুমানমূলক বলে অভিহিত করেছিল। তৎকালীন পাকিস্তান ভারতকে অনুরোধ করেছিল, পূর্ব পাকিস্তানে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এমন যে কোনো পরিকল্পনা পরিচালনা করার আগে তার সাথে পরামর্শ করার জন্য। ১৯৫৩ সালে ভারত প্রস্তাব করেছিল যে, দুই দেশেরই গঙ্গার পানিসম্পদের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা করা উচিত। পরের বছর, তৎকালীন পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তানে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে এবং ভারতকে প্রস্তাব করে, যেখানে বলা হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানে ২ মিলিয়ন একর জমিতে সেচের জন্য ২০০০ কিউসেক পানির প্রয়োজন। সাথে এ কথাও জানায় যে, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের উজানে যৌথ জরিপ প্রয়োজন। কিন্তু ভারত এ রূপরেখা প্রত্যাখ্যান করে। এভাবে কোনো সমঝোতা ছাড়াই প্রকল্পের কাজ চলতে থাকে এবং ১৯৭৫ সালে ভারত এই বাঁধের কার্যক্রম চালু করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্মিত এই ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মৃত্যু ফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই বাঁধ নির্মাণের পূর্ব থেকে যেমন এ অঞ্চলের মানুষের বিরোধিতা ছিল, তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই বাঁধের কার্যক্রম শুরু থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণের পর থেকে নদীটির ভাটির অববাহিকার বাস্তুতন্ত্রে নেমে আসতে থাকে বিপর্যয়। গঙ্গার সাথে জড়িত নদীগুলো পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের অভাবে খুব দ্রুত শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং বিলুপ্ত হতে শুরু করে বাস্তুতন্ত্রের অনেক জীব। এ বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা ভাটির নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ বন্ধ রাখার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষত, বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, জনস্বাস্থ্য থেকে শুরু করে উন্নয়ন সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পানিপ্রবাহ বন্ধের কারণে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারতের সাথে বিতর্ক লেগে আছে কিন্তু, এখন পর্যন্ত এর কোনো তাৎপর্যপূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের ঐতিহাসিকভাবেই সুসম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীদের সাথে বাংলাদেশের মানুষের ভাষার মিল, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বিশেষ অবদানসহ অনেক বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করে গঙ্গার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা শুরু করলে দেশ দুটির মাঝে মনোমালিন্য প্রকট আকার ধারণ করে। বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবেশী বন্ধু দেশের এমন আচরণে হতাশ হয়, বাড়ে অবিশ্বাস এবং প্রতিবাদ স্বরূপ ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মাওলানা ভাসানী লক্ষাধিক জনতা নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেন, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে।
ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের পরিবেশ-প্রতিবেশে যে ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে তা অপরিমেয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অনেক নদী মরে গেছে, কিছু নদী নাব্য হারাচ্ছে দিন দিন, যার ক্ষতিকর প্রভাব বাস্তুতন্ত্রের ওপর সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। নদীগুলো মরে যাওয়ায় স্বাদু পানির প্রবাহ কমে গেছে, এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে সুন্দরবন এবং তার সংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে। এসব অঞ্চলের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন উদ্ভিদের টিকে থাকা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমনি ব্যাহত হচ্ছে কৃষি, হুমকির মুখে পতিত হয়েছে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র। এছাড়াও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জলাভূমি, বিল এবং নদীগুলো দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে অবস্থিত চলন বিলের কয়েক দশকের তুলনামূলক চিত্র থেকে দেখা যায় বিলটি খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ২৩০টিরও বেশি নদী রয়েছে, যার মধ্যে ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী। এই ৫৭টি নদীর মধ্যে ৫৪টি প্রতিবেশী দেশ ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সাথে প্রবাহিত। গত কয়েক দশকের তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, ভারতে উৎপত্তি লাভ করে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বহমান ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অধিকাংশেই ভারত হয় বাঁধ দিয়ে ভাটিতে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে নয়তো পানির প্রবাহের দিক বদল করে নিজ দেশের ভিতর প্রবাহিত রেখেছে। গঙ্গা (বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পদ্মা নামে পরিচিত) ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনার মতো তিনটি শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত নদী তৈরি করেছে বাংলাদেশ নামক ব-দ্বীপ। দেশের মোট প্লাবনভূমির প্রায় ৮০ শতাংশ এই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশে মোট অববাহিকায় মাত্র ৭-৮% এবং অবশিষ্ট অঞ্চল চীন, ভারত, নেপাল এবং ভুটানে অবস্থিত। উজানে অবস্থিত ভারত থেকে আসা পানিই বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশে শিরা, উপশিরার মতো সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নদীগুলোকে। বলা চলে, দেশের নদীগুলোর ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ পানিই দেশের উজানে অবস্থিত উপরের-পশ্চিমের রাজ্যগুলি থেকে। প্রবাহিত এই নদীগুলো শুধুমাত্র পানিই নিয়ে আসে না সাথে নিয়ে আসে বিপুল পরিমাণে পলি ও অন্যান্য বস্তু। গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র একসাথে হিমালয় থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন টন পলি বহন করে এবং বর্ষার সময় এর পরিমাণ হয় প্রতিদিন দুই মিলিয়ন টন। এই বিপুল পরিমাণের পলল চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কিছু অংশ নদীর তলদেশে জমা হয়, যা দিন দিন নদীর গভীরতা কমাচ্ছে এবং নদীর পানিপ্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বর্ষার সময় বন্যা হয় এবং শুষ্ক মৌসুমে বেশিরভাগ নদী শুকিয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এদেশের গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, তিস্তা, মনু, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, গোমতি, মুহুরী ইত্যাদি নদীর অববাহিকায় বসবাস করছে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্যও নির্ভর করছে এসব নদীর উপর। যে পানিতে এসব নদী প্রাণ পায় সেসব নদীর উজানে ভারতীয় অংশে বাঁধ নির্মাণ করায় বাংলাদেশ অংশের নদীগুলো শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। বাঁধের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার, পরিকাঠামো নির্মাণের মতো কর্মকাণ্ড যেমন শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট সৃষ্টি করে, তেমনি বর্ষাকালে বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭৫ সালে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করলে এদেশের নদীগুলোতে পানির প্রবাহ অর্ধেকে নেমে আসে। একাধিকবার আলোচনা সত্ত্বেও ভারত একতরফাভাবে বহু আন্তঃসীমান্ত নদী যেমন, তিস্তা, গোমতি, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু ইত্যাদি উৎসে একাধিক বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে। মুহুরী, ছাগলনাইয়া, ফুলছড়িসহ অনেক নদী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে যে কোনও হস্তক্ষেপ ভাটিতে অবস্থিত জনগণের জন্য পানির অভাব সৃষ্টি করে এবং এতে অসন্তোষ ও অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে এবং পানির বিতরণ, ব্যবহার এবং পরিচালনা সম্পর্কিত বিরোধ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘ ৩৫ বছরের টানাপোড়েনের পর, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া এবং বাংলাদেশের তৎকালীন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বলা চলে, ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি প্রাপ্তিতে এটি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। কিন্তু, চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ পানির কতটুকু হিস্যা পাচ্ছে এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। সাথে সাথে বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত তিস্তা চুক্তি অনেক বছর ধরে ঝুলে আছে, যা নিয়েও এদেশের মানুষের মনে হতাশা বাড়ছে বৈ কমছে না। হতাশা আর ক্ষোভ থেকে জন্ম নেয় অবিশ্বাসের, যেটা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কল্যাণজনক নয়।
দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ ভূরাজনৈতিকভাবে আলাদা এবং স্বাধীন হলেও কিছু সম্পদ রয়েছে, যা দেশগুলো একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করছে। তার মধ্যে পানিসম্পদ অন্যতম। এই পানিপ্রবাহের উৎসসমূহ যেসব দেশে অবস্থিত সেখান থেকে প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হলে এসব অঞ্চলের দেশসমূহের অধিকাংশ নদ-নদী, খাল বিল শুকিয়ে মরে যাবে, এটা স্বাভাবিক এবং বাস্তবে তাই হচ্ছে। ১৯৫০ ও ৬০ এর দশকে কোলকাতা বন্দর রক্ষার জন্য হুগলী নদীর পলি অপসারণ করার নামে যে ফারাক্কা বাঁধ দেয়া হয়, তা সে মুহূর্তে বন্দর রক্ষায় কাজ করলেও সময়ের পরিক্রমায় নিজ দেশের জন্যও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের অনেক রাজনীতিক এবং পরিবেশবাদী এখন সোচ্চার ফারাক্কা বাঁধ বাতিল ও ভেঙ্গে দেয়ার দাবিতে। এর মধ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের গলা সবসময়ই অনেকটা জোরালো দেখা গেছে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একই দাবি জানান। সময়ের সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে গলা মেলাচ্ছেন অনেকেই, যার মধ্যে রয়েছেন ভারতের জলমানব (ওয়াটার ম্যান) খ্যাত রাজেন্দ্র সিং। তিনি ২০১৭ সালে ফারাক্কা বাঁধকে বিহারের জন্য অভিশাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দেয়া দরকার, কারণ এটিকে নিয়ে আর সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
এর মানে হচ্ছে, সমস্যাটি যেখানেই শুরু হোক না কেন এর প্রভাব নিজ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর পড়বেই। সমস্যা সমাধানের প্রেসক্রিপশন অনেকভাবেই হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দরকার সদিচ্ছা। উজানে পানির উৎসে বসে থাকা রাষ্ট্রের তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলার কোনো সুযোগ নেই যে, সে খুব নিরাপদে আছে। পানির অভাবে পরিবেশ প্রতিবেশে সাধিত ক্ষতি কিংবা জনস্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব কোনো নির্দিষ্ট দেশ কিংবা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি ছড়িয়ে পড়বে উজান ও ভাটির সর্বত্র। নিজেদের প্রতিবেশ-পরিবেশ এবং অর্থনীতিকে সচল রাখতে ভাটির দেশগুলোকে নিতে হবে পানি সংরক্ষণের কার্যকর ব্যবস্থা এবং খুঁজতে হবে পানির হিস্যা আদায়ের সন্তোষজনক উপায়। প্রকৃতিকে তার নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত হতে দিতে হবে। নদীকে তার নিজ পথে বাঁধাহীন চলতে দিতে হবে। প্রতিবেশীর দেহে ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংকটের সমাধান করতে সকল দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে সঙ্কট যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকেই এর সমাধান করতে হবে। এমন সঙ্কট যেন ভবিষ্যতে আর না তৈরি হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
saifullahasm@yahoo.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন