বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বঙ্গবন্ধুর চেতনা বিরোধী স্পীকারের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে -মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার: মানিক মিয়া এভিনিউর রাজধানীর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল সংসদ সচিবালয়ের হিন্দু স¤প্রদায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী সমন্বয় পর্ষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদত্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন সুলতানা বলেছেন “বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ”। এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ড. শিরীন সুলতানার বক্তব্য দেশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের ঈমানদার মুসলমানের সেন্টিমেন্ট উপলব্ধি করে বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধীনতার রূপকার মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-উত্তর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে ১০ জানুয়ারী রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণে সদ্য স্বাধীন দেশের পরিচয় তুলে ধরে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ”। তিনি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত কারণেই বাংলাদেশকে একটি মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। পরবর্তীতে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও বাস্তবতা উপলব্ধি করে এবং এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চেতনা ও অনুভ‚তিকে মূল্যায়ন করে সংবিধানে “বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম” এবং “মহান আল্লাহ্ তা‘য়ালার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” সংযোজন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এদেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে ড. শিরীন সুলতানার এধরনের বক্তব্য দেশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। দেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ নয়, এ দেশ মুসলমানের দেশ। এদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে দেশকে বিভাজন করার অপরিণামদর্শী খেলা বন্ধ করতে হবে। কাজেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ড. শিরীন সুলতানার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন