শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বছরে ৩০০ কোটি টাকা আয় হতে পারে বর্জ্য থেকে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিকল্পিতভাবে রিসাইক্লিং করা হলে বছরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন তিনশত কোটি টাকার বেশি আয় করতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিসআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত এক ধারণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো সুলতানা জেসমিন জুঁই এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেন।
সুলতানা জেসমিন জুঁই ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ৮ম ব্যাচের রাজনৈতিক ফেলো এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য। প্রায় ২ মাস তিনি ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
জুঁই জানান, বর্জ্যরে যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিংয়ের ফলে প্রত্যক্ষভাবে ঢাকা সিটির দেড় কোটি ও পরোক্ষভাবে ষোল কোটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে। ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীসহ অন্তত নতুন তিন হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগও তৈরি হবে এতে।
তিনি জানান, নগরীতে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয় সিটি কর্পোরেশনের মতে তা সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে কম্পোস্ট উপযোগী ৭৬ শতাংশ। দৈনিক ৫৬০ গ্রাম মাথাপিছু বর্জ্যরে ৪০০ গ্রাম কম্পোস্ট উপযোগী বর্জ্য হতে ১৫০ গ্রাম সার পাওয়া সম্ভব। যার আর্থিক মূল্য ১.৩০ টাকা। এ হিসাবে বার্ষিক তিনশত কোটি টাকারও বেশি আয় করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সরকার ও ব্যক্তি মালিকানায় সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সারাদেশে এই কম্পোস্টের উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হ্রাস পাবে দেহে রাসায়নিক সারের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব।
প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেয়া হয় প্রাথমিক পর্যায় হতে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহের প্রতি। এর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েও কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা জেসমিন জুঁই জানান, ঢাকা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ২০০ জন মানুষের প্রতীকী একটি গণস্বাক্ষরসহ প্রতিবেদনের আলোকে কিছু স্বল্পমেয়াদী ও কিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সুপারিশ দুই সিটি কর্পোরেশনে জমা দেয়া হয়েছে। সরকার বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে উচ্চভিলাষী পরিকল্পনার বিপরীতে সাধ্যের মধ্যে নিরাপদ ও অতি প্রয়োজনীয় একটি পরিকল্পনা হতে পারে এই জৈব সারের ধারণা। কেননা এতে হ্রাস পাবে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর হবে আমাদের প্রিয় নগরী রাজধানী ঢাকা, তৈরি হবে কর্মক্ষত্র এবং সচল হবে অর্থনীতির চাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি ডিরেক্টর আমিনুল এহসান উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন