দীর্ঘ নয় মাস পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ সেশনের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যা মামলার কোনো সুরাহা মেলেনি। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। পরিবারের দাবি আকবর হত্যা মামলাটির তেমন আর কোন অগ্রগতি নেই। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাবি দ্রুতই কোর্টে পুলিশ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
এদিকে আকবর হোসাইনের হত্যা রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী এমন করুণ মৃত্যু রহস্য উদঘাটন না হলে দেশের মেধাবীদের জন্য সেটি হবে একটি বাজে দৃষ্টান্ত। রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কোন বিকল্প নেই।
জানা যায়, গত বছরের ২৭ আগস্ট পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান আকবর। সর্বশেষ ওইদিন রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে যখন আকবরের সাথে যোগাযোগ করা হয়, তখন একটু পর বাসায় ফিরবেন বলে তার বড় বোন লাবণী খানম আঁখিকে জানান। এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের জিওএস মোড়ের একটি ফ্লাইওভারের নিচে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আকবরকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। সেসময় তার মাথা অনেকাংশে থেঁতলানো ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরবর্তীতে আকবরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। টানা ৫দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করার পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবরের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আকবরের পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে পরিবার আকবরের প্রেমের সম্পর্কে সমস্যার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে মামলার পর দীর্ঘ সময়ে ধরে তদন্তে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারের আবেদন সাপেক্ষে আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন পিবিআইকে।
আকবরের বড় বোন লাবণী খানম আঁখি বলেন, মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমাদের আবেদন সাপেক্ষে পিবিআই এখন মামলার তদন্ত করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে ঢাকায় দেখা হয়েছিল দুইবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আকবর হত্যা মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে। আমরা উর্ধ্বতন অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রাখছি। আকবরের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পরিদর্শক পারভেজ বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে এখনো। দ্রুতই কোর্টে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন