মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বৃষ্টিতে ধানক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

নীলফামারী সৈয়দপুরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বোরো ধান। কোনো ক্ষেতে কোমর পানি, আবার কোনো ক্ষেতে বুক ছুঁই ছুঁই।
ধান গাছের গোড়া থেকে কাটতে হলে ডুব দিয়ে কাটতে হবে। যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই উপায় না দেখে গোড়া না কেটে শুধু ধানের শীষটুকু কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
এতেও আছে কিছু সমস্যা। গোছা গোছা ধানের গোড়া কাটা যতটা সহজ, গুছিয়ে ধানের শীষ কাটা ততটা সহজ নয়। যেসব কৃষক শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন, এজন্য বাড়তি মজুরিও গুণতে হচ্ছে তাদের। জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরে এবার গ্রীষ্মে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। নদী-নালা পানিতে ভরে গেছে।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক কার্তিক চন্দ্র বলেন, আমার পাঁচ বিঘা জমির ধান প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ধানের কিছুটা ক্ষতিও হয়েছে। যেসব ধানের মাথা বের হয়েছে, সেগুলো শ্রমিক দিয়ে কাটাচ্ছি। জমিতে পানি না থাকলে বিঘা প্রতি ছয় হাজার টাকা দিতে হতো শ্রমিকদের। ক্ষেতে পানি থাকায় শ্রমিকদের প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে আট হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এজন্য প্রায় আট মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। জেলার বুড়ি তিস্তা নদী এলাকার কৃষক শাহিনূর রহমান বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। ভাতের জন্য দুই বিঘা জমি বর্গা চাষ করি। ধান পাকার সময় প্রবল বৃষ্টিতে নদী ভরে যায়। সেই সঙ্গে আমার জমির ধানও পানিতে তলিয়ে যায়। এসব ধান পানি সহ্য করতে পারে না। তাই উঠতি বোরো ধানের বেশিরভাগ নষ্ট হয়েছে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু ছিদ্দিক জানান, বোরো মৌসুমে ৮১ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৪ মেট্রিক টন ধান। তিনি বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধান কাটার সময় এ ধরনের ক্ষতি কৃষকদের ধাক্কায় ফেলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন