মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধান কাটার শ্রমিককে পানি সেচ ঘরের ভেতর জবাই হত্যা করেছে সহকর্মী শ্রমিক। এ ঘটনায় ঘাতক সহকর্মী শ্রমিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামে। নিহত আরিফ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের ঝিলিম কবিরাজের পুত্র। আর আটক হওয়া ঘাতক একই ইউনিয়নের ব্রাক্ষন্দী গ্রামের মো. মেহের আলী শেখের পুত্র মানিক ওরফে হৃদয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিমুখা গ্রামের ইউসুফ আলী নামে এক ব্যক্তি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনজন ধান কাটার শ্রমিক বাড়িতে নিয়ে আসেন ধান কাটার জন্য। এদের সবার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের বাঘুটিয়া ইউনিয়নে।
গতকাল সোমবার সকালের খাবার খেয়ে শ্রমিক হৃদয় হোসেন, বাবুল শেখ ও আরিফ হোনেস ধান কাটতে ক্ষেতে যায়। দুপুরে ক্ষেতের পাশে একটি মেশিন ঘরে তারা তিনজনে মিলেই বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সময় পূর্ব শত্রুতা জের ধরে হৃদয় হোসেন আরিফ হোসেনকে ধান কাটার ধারালো কাস্তে গলায় চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
আটকের পর ঘাতক হৃদয় হোসেন জানায়, তার সহকর্মী আরিফ হোসেন তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া সে এলাকার অনেকের ক্ষতি করেছে। এ জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে শ্রমিক হিসেবে এক সাথে কাজ করতে এসে তাকে কাস্তে দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, গলা কেটে হত্যার খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে গর্জনা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পেরন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের কোন শত্রুতা ছিল তাদের মধ্যে। এ ঘটনায় হৃদয়, বাবুল নামে দুই শ্রমিককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। এছাড়া বাড়ির মালিক ইউসুফ আলীকে জ্ঞিগাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে হৃদয় হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন