বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

কারিগরি শিক্ষা

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১২:০৪ এএম

কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার যতটুকু প্রসার হয়েছে প্রয়োজন আরো বেশি প্রসার করা। কারণ, বাংলাদেশে বৃহৎ জনগোষ্ঠী আজকে বেকার। কিন্তু আমাদের এত বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী থাকার সত্ত্বেও ভারতসহ বহু দেশের লোক বাংলাদেশে কাজ করছেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, তাদের কারিগরি শিক্ষার দক্ষতা বেশি। পরিসংখ্যান মতে, সরকারি ও বেসরকারি খাতে কারিগরি শিক্ষার যথেষ্ট সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজার ৬৭৫টি কারগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই স্তরে শিক্ষার্থী বাড়ছে। সরকার ২০২০ সালে মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার হার ২০ শতাংশ (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে) এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। বিবিএস-এর জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ। তবে আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি। তাছাড়াও শিক্ষিত বেকার বাড়ার পাশাপাশি মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় বিদেশফেরত শ্রমশক্তি এই বেকারত্বের তালিকা আরও বেশি দীর্ঘতর করছে। আবার, লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) তথ্য মতে, বাংলাদেশে শতকরা ৪৭ ভাগ স্নাতকই বেকার। সেক্ষেত্রে বেকার সমস্যা কমাতে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বাংলাদেশ সরকার কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছে। ২০২১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে, ২০২২ সালে সপ্তম শ্রেণিতে এবং ২০২৩ সালে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাক্বৃত্তিমূলক শিক্ষা হিসেবে একটি কারিগরি বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা হবে। অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণিতে ২০২১ সালে বাধ্যতামূলকভাবে একটি কারিগরি বিষয় চালু হবে। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক খবর। তাই সবাইকে কারিগরি শিক্ষায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম,
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন