ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর মাহমুদা খাতুন বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা নুরুল ইসলামকে মাদরাসার অফিস কক্ষে দুই শিক্ষক ও মানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মিলে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার মাদরাসা চলাকালীন সময়ে অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম জানান, আমাকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে কিছুদিন পূর্বে সহকারী মৌলভী মাওলানা জামাল উদ্দিন মাদরাসার ইউনিক আইডি ও উপবৃত্তি আইডি পার্সওয়ার্ড পরিবর্তন করেন। এছাড়াও ২০২২-২৪ সালের জন্য বিধি অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠন করলে সভাপতি থেকে বাদ পড়েন ইউসুফ মিয়া। সহকারী শিক্ষিকা ও সাবেক সভাপতির স্ত্রী রাফিয়া আক্তার চৌধুরীর কাছে থাকা মাদরাসার একাউন্টের চেক বই চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
তিনি আরো জানান, দুই শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি মিলে গত সোমবার মাদরাসা চলাকালীন সময়ে অফিস কক্ষে ডুকে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে। শিক্ষক ছানাউল্লাহ জানান, আমরা সুপারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
অভিযুক্ত সহকারী মৌলভী মাওলানা জামালউদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। অপর শিক্ষিকা রাফিয়া আক্তার চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমার শ্বশুরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় আমার স্বামী রাগান্বিত হয়ে চড়-থাপ্পড় দেন। অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সভাপতি ইউসুফ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমরা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। সুপার উল্টাপাল্টা কথা বলেছে তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি।
লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, মাদরাসা সুপারের উপর হামলার বিষয়ে মোবাইলে জেনেছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও বিচার দাবি জানিয়েছেন ভোলা জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোবাশ্বেরুল হক নাইম, লালমোহন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু জাফরসহ সকল নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন