গত দশ বছরে দেশ-বিদেশে ৮২৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ সালেই খুনের শিকার হয়েছেন ২১৩ জন সাংবাদিক। সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছে আরব বিশ্বে, এই সংখ্যা ৭৮। সংঘাতপূর্ণ এলাকায়ই সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়। আর এসব হত্যাকা-ের বিচার না হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে সাংবাদিকদের অনৈক্য।
সম্প্রতি ইউনেসকো’র ডিরেক্টর জেনারেল এর ‘সেফটি অব জার্নালিস্টস অ্যান্ড দ্য ডেনজার অব ইমপিউনিটি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রতিবেদনটির আংশিক অংশ তুলে ধরেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স ইডিটর জাহিদ হোসাইন। ‘ইউনাইট অ্যাগ্যাইনস্ট ইমপিউনিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব কমিউনিকেশন স্টাডিজ ও ইউনেসকো।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক খালিদ মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত প্রফেসর ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, শাবান মাহমুদ, নাসিমুন আরা মিমু প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে নয়, নারীদের উপরও হামলা বাড়ছে নিয়মিতভাবে। ২০১৫ সালে ৯ নারী সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। গত দশকে গড়ে ৪ জন নারী সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৮২৭টি হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৯টি দেশ ৪০২টি হত্যাকা-ের মামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৩টি। তদন্ত চলছে ৩৩৯টি। আর ৪২৫টি মামলার বিষয়ে সদস্য দেশ কোন তথ্য দেয়নি। সব মিলিয়ে সাংবাদিক হত্যায় বিশ্বব্যাপী ৯২ ভাগ মামলার নিষ্পত্তি হয় না। বাংলাদেশেও ১৯৯২ সাল থেকে এই পর্যন্ত হত্যাকা-ের শিকার ২০ সাংবাদিক পরিবারের কেউই বিচার পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন