নাসিরনগর ও গাইবান্ধার সংখ্যালঘু ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে ‘নানা ষড়যন্ত্র আবিষ্কার’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজকে নাসিরনগরে সংখ্যালঘু মানুষ বিপন্ন, আজকে গাইবান্ধার সাঁওতালরা জনগোষ্ঠী বিপদাপন্ন। সবাই বলছে, এক জায়গায় একজন মন্ত্রী দায়ী, তাদের দলের ভেতরের কোন্দল দায়ী, আরেক জায়গায় প্রত্যক্ষভাবে একজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে।
পুরানা পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) উদ্যোগে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানী ইন্তেকাল করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নাসিরনগরে একজন বিএনপির নেতাকে আসামি করে ব্যাপক প্রচার দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এর সাথে বিএনপি আছে। কে জানে হয়তো গোবিন্দগঞ্জে কোনো সাঁওতালকে বিএনপি বানিয়ে দেয়া হবে। আমরা বারবার বলি, এসব ঘটনা অপরাধ, অমার্জনীয় অপরাধ। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়ার দরকার।
সন্ত্রাসী তৎপরতা ও ঝুঁকির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকেই পত্রিকায় এসেছে যে, বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের তালিকায় অবস্থান ২২তম। গতবার যে পরিমাণ সন্ত্রাস ঘটেছে, সেটা প্রধান ১০টি দেশের মধ্যে একটা। এটা লজ্জার বিষয়। আমাদের জন্য এগুলো অনেক দুশ্চিন্তার বিষয়। এ ধরনের প্রচার আমাদের জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে, সারাবিশ্বে আমাদের ভাবমর্যাদা মলিন করতে পারে। যাতে সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করার ব্যবস্থা নিতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সন্ত্রাসী তৎপরতা ও ঝুঁকির বিচারে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের সূচকে তিন ধাপ অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশে।
এ সংস্থার প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে এবার বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ১৬৩ দেশের তালিকার ২২তম ক্রমে; বাংলাদেশের স্কোর এবার ৬ দশমিক ৪৭৯। ৫ দশমিক ৯২১ স্কোর নিয়ে গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশ ছিল ২৫তম স্থানে। আর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের স্থান ছিল ২৩ নম্বরে, স্কোর ছিল ৫ দশমিক ২৫।
ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ছড়াকার আবু সালেহ, গণসংস্কৃতি দলের এম আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন