ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মো.আব্দুল হামিদ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
চলমান ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছুটে বেড়াতে হয় দেশের নানা প্রান্তে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি একই ক্যাটাগরির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল কলেজের মত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান করে আসছিল।
তবে অভিযোগ রয়েছে, প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে অনিহা দেখিয়ে আসছে বরাবরই। এই অনিহার নেপথ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘ভর্তি ফরম বাণিজ্য’ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ উদ্যোগ নিতে গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার ইউসিজির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্টের কাছে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৫ পেশ করেন। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপচারিতায় উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এ অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট।
এ বিষয়ে প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তার অভিপ্রায় মানেই নির্দেশ। তিনি খুব তাড়াতাড়ি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের সঙ্গে পৃথক দিনে এ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
তিনি জানান, ‘ইতোমধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিরা ওই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে একমত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসি গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন