চলতি অর্থবছরের মেয়াদ প্রায় শেষ। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে, যা আগামী জুনে জাতীয় সংসদে পাশ হয়ে জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এটা বার্ষিক রুটিন ওয়ার্ক। আগামী বাজেট গতানুগতিক করলে চলবে না। ব্যতিক্রমধর্মী বাজেট করতে হবে। কারণ, এ বছর বিশ্বে অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিশ্বে। যার অন্যতম হচ্ছে-ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। প্রায় আড়াই বছর যাবত করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বৈশ্বিক মহামন্দা। ব্যাপক খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষ কর্ম হারিয়েছে। দারিদ্র্য, বাল্য বিবাহ ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া বেড়েছে অনেক। এসব ক্ষতি সামলিয়ে উঠার জন্য যখন বিশ্ববাসী উদ্যোগ নিয়েছে, তখনই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়েছে ব্যাপক। এসব পণ্যের বিরাট অংশ জোগান দেয় ওই দু’টি দেশের। উপরন্তু যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পণ্যসরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে পণ্যমূল্য বেড়েছে, যা আরো কয়েক বছর চলবে। খাদ্য সংকটের কারণে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে। এ যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, বিশ্বের ক্ষতি ততো বাড়বে। অন্যদিকে, করোনা পুনরায় বাড়ছে বহু দেশে। উত্তর কোরিয়া ‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির করোনা বৃদ্ধিকে। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও করোনা পুনরায় বেড়েছে। এ বছর আফ্রিকায় দীর্ঘ খরায় ব্যাপক ফসল হানি হয়েছে। ভারতেও তাই হয়েছে। দেশটি গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। দেশেও এবার হাওরে অকাল বন্যা এবং বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার ইরি-বোরোর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি-না সন্দেহ রয়েছে।
বর্ণিত অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ঋণ, বিনিয়োগ, সহায়তা, বাণিজ্য ইত্যাদি হ্রাস পেতে পারে। সেটা হলে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে চরম আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যেই শ্রীলংকা ও লেবানন নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান ও ভারতে চরম আর্থিক সংকট চলছে। বাংলাদেশেও তা হতে পারে বলে জনমনে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও সেরূপ আশংকা ব্যক্ত করছেন। সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ, বাণিজ্য ঘাটতি (প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার), টাকার অবমূল্যায়ন, সব ধরনের দূষণ ও অপরাধ, যানজট, গ্যাস সংকট সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে ন্যূজ্ব হয়ে পড়েছে। পুঁজিবাজারের অবস্থাও খুবই দুর্বল। প্রবাসী আয় ও রিজার্ভ কমছে। লকডাউনে অসংখ্য মানুষ কর্ম হারিয়েছে, যাদের অনেকেই কর্ম ফিরে পায়নি। দেশ-বিদেশে নতুন কর্মসংস্থান নগণ্য। বেকারত্ব ভয়াবহ হয়েছে। পণ্যমূল্যও অস্বাভাবিক হয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই তারা খাদ্য গ্রহণ কমে দিয়েছে। ঢাবির পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৪২% মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের সক্ষমতা নেই। জাতিসংঘের এসওএফআই রিপোর্ট-২০২১ মতে, বাংলাদেশের ৭৩% মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য কিনতে সক্ষম নয়। এছাড়া, ৩১.৯% মানুষ মাঝারি বা গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০২১ মতে, ১১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭৬তম। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে কৃচ্ছতা সাধন করা প্রয়োজন বলে এক নিবন্ধে বলেছিলাম সম্প্রতি। কিছু প-িত ব্যক্তিও তাই বলেছেন, যা সরকার গ্রহণ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি জনবলের বিদেশ ভ্রমণ, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ, জরুরি প্রকল্প ছাড়া যেসব প্রকল্প আপাতত বাস্তবায়ন না করলেও চলবে, তা বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন সড়ক নির্মাণ করার দরকার নেই। পুরাতনগুলো মেরামত করে সচল রাখতে হবে। সরকারের এসব পদক্ষেপ কল্যাণকর। তাই কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। উপরন্তু অর্থনীতিবিদরা উচ্চাভিলাষী প্রকল্প গ্রহণ না করার কথা বলেছেন। এটা যুক্তিযুক্ত। অপচয়, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার নির্মূল এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা জরুরি। এছাড়া, পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করার জন্য ভোজ্য তেলের ন্যায় সব পণ্যের ক্ষেত্রেই দেশব্যাপী অভিযান চালাতে হবে নিয়মিত। ধৃত মজুদকারদের জরিমানার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দিতে হবে।
যা’হোক, আগামী জাতীয় বাজেটকে স্বাবলম্বী করতে হবে। এডিপি গ্রহণ করতে হবে স্বীয় সক্ষমতা অনুযায়ী। সরকারি সব কাজ নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট অর্থে ও নির্দিষ্ট মানে করতে বাধ্য করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। কর-জিডিপির হারও দ্বিগুণ করতে হবে। বর্তমানে এই হার মাত্র ৯%, যা এই অঞ্চলের মধ্যে নি¤œ! ভ্যাট আদায় সঠিকভাবে হয় না। ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের কাছ থেকে শতভাগ ভ্যাট নিলেও তা পূর্ণভাবে সরকারের কাছে জমা দেয় না অনেকেই। এটা বন্ধ করার জন্য ইএফডি চালু করা হয়েছিল গত বছর, যা ছিল একটি যুগান্তকারী কর্ম। কিন্তু রাজস্ব বিভাগ প্রয়োজন মোতাবেক ইএফডি মেশিন সরবরাহ করতে পারেনি ব্যবসায়ীদের কাছে। তাই এটি এখন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সফলতা আসবে কি-না বলা কঠিন। ব্যক্তিগত কর আদায়ের অবস্থাও খারাপ! কর মেলা, অনলাইনে কর ও রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করার পরও এক তৃতীয়াংশ মানুষ রিটার্ন দাখিল করেনি এ বছর।গত ১৮ মার্চ খবরে প্রকাশ, ‘দেশে এখন টিআইএনধারীর সংখ্যা ৭৩.৫৫ লাখ। কিন্তু চলতি বছরে মাত্র ২৬ লাখ করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিয়েছে।’ অবশ্য, দেশে করযোগ্য মানুষের সংখ্যা কোটির অধিক হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অপরদিকে, কর সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা অনেক। তাতে বিপুল টাকা সংশ্লিষ্ট রয়েছে। কর অফিসের কিছু লোকের দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও কর ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক জটিলতা রয়েছে। অনেকের মধ্যে কর ভীতি রয়েছে। এসব অবস্থা চলতে থাকলে কর-জিডিপির হার দ্বিগুণ হবে না কখনোই। আয় বৈষম্যও কমবে না। বাজেটও আত্মনির্ভর হবে না। তাই কর জিডিপির হার দ্বিগুণ করতেই হবে। সে জন্য কঠোর পন্থা অবলম্বন করা দরকার। অর্থাৎ কর বৃদ্ধি না করে করযোগ্য সব মানুষকে করের আওতায় আনতে এবং শতভাগ কর-ভ্যাট আদায় করতে হবে। সর্বোপরি কর পদ্ধতি সহজতর এবং কর অফিসের লোকের দুর্নীতি-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
বাজেটে কৃষি খাতের সার্বিক উন্নতির দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। নতুবা দেশ বাস্তবিকভাবে খাদ্যে স্বয়ংভর হবে না। আয়ের সিংহভাগ খাদ্যদ্রব্য আমদানিতেই ব্যয় হবে। স্বাধীনতাত্তোরকাল থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশের কৃষির উন্নতি হতে হতে এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। দেশ শাক-সবজি, মাছ, মাংস উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংভর হয়েছে। কিছু রফতানিও হচ্ছে। তবে চাল ও গমের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। তাই বছরে প্রায় ৭০ লাখ মে. টন চাল ও গম আমদানি করতে হয়। এছাড়া, ভোজ্য তেল, চিনি, পিয়াজ-রসুন-আদাসহ সব ধরনের মসল্লা, ডাল, ফল ইত্যাদির বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। দেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রসেসিং ও প্যাকেটিং/বোতলজাত করার ব্যবস্থা নেই তেমন। খাদ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও আধুনিক নয়। তাই খাদ্যপণ্যের অপচয় ও নষ্ট হওয়ার পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স-২০২১ মতে, জমি থেকে সংগ্রহ, সংরক্ষণের দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতার অভাবে পরিবহন, সরবরাহ ও খুচরা বিক্রি পর্যায়ে বাংলাদেশে বছরে ১.০৬ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হচ্ছে। দেশের কৃষি ব্যবস্থাও প্রায় সেকেলেই রয়েছে। হাইব্রিড বীজের ব্যবহার মাত্র ৮%, যা জাপান ও চীনে ৬০-৭০%। দেশে বীজেরও চাহিদার ৯৩% আমদানিনির্ভর। তাই কখনো কখনো ফসল হানি হয়। কৃষিশ্রমিকের সংকট জনিত মজুরি অত্যধিক। সব মিলে দেশের কৃষিপণ্যের উৎপাদনের হার সর্বনি¤œ আর ব্যয় সর্বাধিক। তাই মূল্য অত্যধিক। ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাও দুর্বল। দি ইকোনমিস্টের মতে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক টেকসই খাদ্যসূচকে ৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৪তম, স্কোর ৬১। সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা ২০টি দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। গত ১৩ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এফএও এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, বিভিন্ন পক্ষের উচিত খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি কার্যক্রম গ্রহণ এবং খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট সংকট দূরীকরণে সচেষ্ট হওয়া। এফএও-এর তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি বাজারের আকার ১৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ১০% হারে বাড়ছে প্রতি বছর। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাজারটির ব্যাপ্তি ২১,৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের মোট শ্রমমক্তির ৪০% কৃষি খাতে নিয়োজিত। তবে সে তুলনায় খাতটিতে জনপ্রতি বিনিয়োগ ও মূল্য সংযোজনের পরিমাণ খুবই কম। বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষিতে জনপ্রতি বিনিয়োগ মাত্র ১৬ ডলার। মূল্য সংযোজনও মাত্র ১,০৩৭ ডলার, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কম। দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও চাহিদার যে তথ্য সরকারিভাবে প্রকাশিত হয়, তা সঠিক নয়। ফলে নানা সংকট সৃষ্টি হয়।
দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল হানি তো রয়েছে। তাই সার্বিক মূল্যায়নে কৃষির সার্বিক উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে অচিরেই। সে জন্য কৃষিকে শতভাগ যন্ত্র, প্রযুক্তি ও হাইব্রিড বীজ ভিত্তিক করতে হবে। এছাড়া, চাহিদা মাফিক সার, কীটনাশক এবং খরা ও লবণাক্ত সহিঞ্চু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ বীজ স্বল্পমূল্যে কৃষকের কাছে সরবরাহ করতে হবে। দেশে শতভাগ বীজ সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি সব পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, চাষের সব জমিকে সেচভুক্ত করা, সেচে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার শতভাগ করা ও সব এক ফসলি জমিতে তিন ফসল ফলাতে হবে। উপরন্তু সর্বত্রই শস্য বহুমুখীকরণ, ভাসমান কৃষি এবং কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে হবে সার্বক্ষণিক। ফসল ফলাতে হবে পরিকল্পনা মাফিক তথা চাহিদা ও পুষ্টি মাফিক। উপরন্তু কৃষিপণ্যের হালনাগাদ উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য থাকতে হবে। নতুবা অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য মূল্য হ্রাস আর কম উৎপাদনের জন্য মূল্য বৃদ্ধি ঘটতেই থাকবে। নদীভাঙ্গন রোধ ও কৃষি জমিকে অন্য কাজে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সব খাদ্যপণ্যের প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ, প্রসেসিং ও প্যাকেটিং এবং কৃষি যন্ত্র তৈরির শিল্প তথা কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য স্বল্প সুদে পর্যাপ্ত ঋণ দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। পাশাপাশি এক্ষেত্রে সরকারেরও বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে। কৃষকেরও উন্নতি ঘটাতে হবে। তারা এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের উচ্চ সুদের ঋণে জর্জরিত হয়ে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। তাদের স্বল্প সুদে ও সহজ পদ্ধতিতে চাহিদা মাফিক ঋণ দিতে হবে। প্রধান ফসল উঠার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে। অর্গানিক ফুড ও হালাল পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে বিশ্বব্যাপীই। বর্তমানে বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজার ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের, যা বছরে ৬% হারে বাড়ছে। এই বিশাল বাজারের কিয়দংশ ধরতে পারলে আমাদের রফতানি খাতে নব দিগন্তের সূচনা ঘটবে। বর্তমানে হালাল পণ্যের সনদ দিচ্ছে বিএসটিআই। এতে হালাল পণ্য রফতানি সহজতর হয়েছে। অর্থাৎ দেশের কৃষি খাতকে আধুনিক করার বিপ্লব ঘটাতে হবে। সে জন্য আগামী বাজেটকে কৃষিবান্ধব। তবেই কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে দেশ স্বয়ংভর ও টেকসই হবে। উৎপাদন ব্যয় এবং অপচয় ও নষ্ট হওয়া কমবে অনেক। এতে কৃষি পণ্যের মূল্য কমবে। রফতানি বাড়বে। কৃষকেরও উন্নতি ঘটবে। অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেশের সার্বিক ও টেকসই উন্নতি হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন