বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন। রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে দিনব্যাপী ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা, ঢাকা মহানগর ও তার নিজ এলাকা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং-টঙ্গিবাড়ি থেকে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। দিনের অগ্রভাগে অ্যাডভোকেট সালামকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় নেতা মীর আশরাফ আলী আযম, মীর সরফত আলী সপু, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী রফিক, আরিফুর রহমান তুষারসহ ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
অ্যাডভোকেট সালাম অনুভূতি জানিয়ে বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব আমার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এই আস্থার সম্মান দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। অশ্রুভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, যার আদর্শ ও প্রেরণায় এ পর্যন্ত এসেছি আজকে সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পা ছুঁয়ে সালাম করতে পারলে বেশি ভালো লাগতো। তার প্রতি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সালাম।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাডভোকেট সালামকে পদন্নোতি দিয়ে ঢাকা বিভাগের পূর্ণ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনয়নের দায়িত্বেও বিষয়টি জানানো হয়। এতদিন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ফজলুল হক মিলন। সম্প্রতি তিনি গাজীপুর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৫(খ) অনুযায়ী, স্থায়ী কমিটি বা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের কোনো সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক দলের অন্য কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে অনিবার্য কারণে দলের চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে ব্যতিক্রম অনুমোদন করতে পারবেন। জানা গেছে, দলের গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ফজলুল হক মিলনকে কেন্দ্রীয় পদ ছাড়তে হয়। তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন