ঈশ্বরদীর চান্চল্যকর মিঠুন হত্যা মামলায় জবা খাতুন (২৬) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৩ মে'২২ দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জবা খাতুন উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি পতিরাজপুর গ্রামের জালাল প্রামাণিকের মেয়ে। এ মামলার প্রধান আসামি সাগর কারাগারে মারা গেছেন।
নিহত মিঠুন (২৮) ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট মিঠুনের রিকশায় চড়েন জবা ও তার স্বামী সাগর। তারা ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকা ঘোরাঘুরি করেন। পর রাতে ঈশ্বরদী-পাবনা সড়কের সুগারক্রপ গবেষণার দেওয়ালের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে দা দিয়ে মিঠুনকে কুপিয়ে হত্যা করেন সাগর। পরে তারা মরদেহ ফেলে রেখে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার আটদিন পরে মিঠুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়। পুলিশের তদন্তে হত্যায় জবা ও সাগর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্তরা ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ চক্রবর্তী জানান, মিঠুন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তার এক পা ছোট ছিল। আসামি জবা খাতুন স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছিলেন, মিঠুন তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। সেজন্য মিঠুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন