নীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়ক-মহাসড়কগুলো যেন ধান ও খড় শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। এতে করে ঝুঁকিতে পড়েছে গাড়ী চালক ও পথচারীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এ চিত্র হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে সৈয়দপুর-নীলফামারী, সৈয়দপুর- রংপুর, সৈয়দপুর-দিনাজপুর, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর মহাসড়কে। এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়ক ও গ্রামীণ পাকা রাস্তারও একই চিত্র।
বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে দুর্ঘটনার শিকার এক দম্পতির ভাষ্য, তারা স্বাভাবিক গতিতে মোটরসাইকেলে করে সৈয়দপুর শহর থেকে বোতলাগাড়ী যাচ্ছিলেন। কিন্তু সড়কে শুকাতে দেওয়া খড়ে মোটরসাইকেল পিছলে অনেকটা দূরে ছিটকে পড়ে যান তারা। গতি কম থাকায় স্বামী-স্ত্রীর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি, সামান্য ছিলে গেছে। সড়কে ধান-খড় শুকানোর কারণে এমন ঘটনা যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।
আজ (২৪ মে) মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সৈয়দপুর-নীলফামারীর ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ধান শুকানো হচ্ছে। এছাড়া ওই সড়কেই আবার অনেক জায়গায় চলছে খড় শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজ। এতে সড়কটি আরও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অথচ সড়কটিতে নিয়মিতই চলছে দ্রুতগতির যানবাহন। আর সংকুচিত হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কটিতে উত্তরা ইপিজেড, ভারী শিল্প কারখানা, স্কুল-কলেজ, বিজিবি ক্যাম্প ও বেশ কিছু বাজার রয়েছে। এজন্য স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ত থাকে সড়কটি। আর ব্যস্ততম এ সড়কটিকে আশপাশের কৃষকরা যেন চাতাল বানিয়ে ছেড়েছেন। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার।
শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অঞ্জনী রানী বলেন, আমরা বাইক চালিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাই। সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কে ধান শুকানোর কারণে আমাদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) নাহিদ পারভেজ জানান, সবগুলো সড়কেই ধান শুকানো চলছে। তাদের বাধা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন