শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সরিষাবাড়ীতে কীটনাশক সেবন ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২২, ৪:৩৭ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় বাবার ওপর অভিমান করে ফাতেমা আক্তার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সন্ধায় উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা পোগলদিঘা ইউনিয়নের পূর্ব মালিপাড়া গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলীর মেয়ে ও পাশ্ববর্তী বামনজানি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। পোগলদিঘা ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কহিনুর রহমান বলেন, নিহত ফাতেমা মালিপাড়া গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলীর এক মাত্র মেয়ে। ফাতেমার একই গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে হ্নদয়ে মিযার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত কয়েকদিন আগে হ্নদয় মিয়ার পরিবার ফাতেমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। এতে মোকাদ্দেস আলী মেয়ের বিয়ে নাকচ করে দিয়ে মেয়েকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে ফাতেমা মারধর সইতে না পেয়ে ও প্রেমিকার সাথে বিয়ে না দেওয়ায় বাবার উপর অভিমান করে ঘরে থাকা কীটনাশক প্রাণ করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মঙ্গলবার সন্ধায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান হয়েছে বলে জানান তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ।

অপরদিকে একই দিন একই ইউনিয়নে প্রায় একই সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফিউল ইসলাম (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাফিউল ওই এলাকার আব্দুল সালাম মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় এক কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। পোগলদিঘা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধায় রাফিউল বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে ফ্যানের বাতাসে ধানের চিটা পরিষ্কার করছিলেন। বৈদ্যুতিক লাইন লিকেজ থাকায় সে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন