হাওর এলাকার বাঁধ ভাঙা যেন একরকমের স্বভাবিক নিয়মে পরিণত হয়ে দাঁড়িয়েছে। উজানি ঢল ও প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রতিবছরই দেশের হাওর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে থাকে। এবারেও উজানি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে। এ অবস্থায় ফসল নষ্ট হচ্ছে চাষিদের। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বাড়ছে। সেই সাথে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে নিচু ফসিল জমিজমা। বন্যায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। কিন্তু কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে নদীভাঙন ও বন্যা রক্ষা বাঁধ। এর পরও বছর ঘুরতে না ঘুরতে ভেঙে যায় সেই বাঁধ। সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াÑ এই সাতটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চল। এসব এলাকার লাখ লাখ কৃষক ও হাজার হাজার কোটি টাকার ফসলের চেয়ে কিছু ঠিকাদার কিংবা প্রকৌশলী-কর্মকর্তার স্বার্থ বড় হতে পারে না। আমরা চাই, হাওরাঞ্চলের বাঁধসংক্রান্ত সব প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজ শুরুর ক্ষেত্রে এমন বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান করা হোক।
প্রসেনজিৎ চন্দ্র শীল
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন