রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় দুর্র্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত বাসার গৃহকর্মী জোসনা আক্তার ও তার প্রেমিক মো. জামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বাসা থেকে চুরি যাওয়া ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন। গতকাল শুক্রবার ভাটারা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওসি সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ২১ মে বসুন্ধরা এলাকার এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ করেন তার বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি তার বাসার গৃহকর্মী জোসনা আক্তারকে সন্দেহভাজন উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরিজীবী। বাসায় তার বৃদ্ধা মা ছাড়া কেউ থাকেন না। গৃহকর্মী সাপ্লাই দেয়া সোর্সের মাধ্যমে জোসনা আক্তার তার বাসায় কাজ নেন। এ সুযোগে জোসনা বাসার আলমারি থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান।
মামলা দায়েরের পর চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে ভাটারা থানার একটি দল কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জোসনা ও তার প্রেমিক জামালকে খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে জোসনার এক স্বজনের বাসার পরিত্যাক্ত টয়লেট থেকে স্বর্ণালঙ্কারগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোসনা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গৃহকর্মী পেশার আড়ালে চুরির সঙ্গে জড়িত। এর আগেও এভাবে চুরি করেছেন। তাকে চুরি শেষে পালাতে সহায়তা করেছেন প্রেমিক জামাল।
ওসি সাজেদুর জানান, গ্রেফতার জামাল পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি বিভিন্ন ভাড়া করা গাড়ি চালাতেন। জোসনার চুরির বিষয়ে শুরু থেকে তিনি নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। জোসনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় ওয়ারেন্টও রয়েছে। অনেকেই বাসার কাজের লোকদের বিষয়ে উদাসীন। কেউ কেউ বাসার মূল্যবান সম্পদের চাবি দিয়ে রাখেন গৃহকর্মীদের কাছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে ওসি বলেন, গৃহকর্মী নিয়োগ দেয়ার আগে তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে।
নিয়োগের পরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি তুলে রাখতে হবে। যে সোর্সের মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগ করা হবে সেই সোর্সের তথ্যও সংরক্ষণ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন