মানিকগঞ্জে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তিখাতে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আমরা এদেশের শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনব। উক্ত সালের মধ্যেই আমরা এই খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করব। গতকাল রোববার দুপুরের ঘিওর উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পুলিশ স্টেশন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ফাইবার অপটিকালের আওতায় আনছি। সারাদেশে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অপটিকাল ফাইবার ক্যাবলের আওতায় আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে তরুণ তরুণিরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। প্রতি বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ছেলে মেয়ের দক্ষতা নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২ একর জমির ওপর ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণরা চাকরি করবে না চাকরির ক্ষেত্রে তৈরি করবে। তরুণদের উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইটিসি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইন্ড শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামীতে আমাদের মেধাবী তরুনরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রফতানি করবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এসময় তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে ৬৪ জেলায় আইটি খাদে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জসহ দেশে আরো ১০ জেলায় এক সাথে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এ সময় মানিকগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রি. জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, জেলা পরিষদের প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, ঘিওর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঘিওর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন