বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ড্রেনের ময়লা পানিতে করোনার জীবাণু!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেনের পানিতে এবং কর্দমাক্ত স্থানে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। এসব মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ ও ৫৩ শতাংশে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) ও ঢাকা ওয়াসার করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার (৩০ মে) রাজধানীর ওয়াসা ভবনে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা পরিশোধিত পানিতে করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি জানিয়ে বলা হয়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ঢাকার সিটির স্যুয়ারেজ ও অন্যান্য পানিতে করোনাভাইরাস ও সার্স-২ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা করা হয়। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন আইসিডিডিআরবি’র এমিরেটাস সাইন্টিস্ট ড.সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকা ওয়াসার পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, নারিন্দা, বাসাবো পয়ঃ পাম্পিং স্টেশন, ঢাকা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি পুকুর, মিরপুর মাজার পুকুর এবং বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর পানি নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওয়াসার পরিশোধিত পানিতে ভাইরাসটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে ঢাকা শহরের পুকুর ও নদীর পানিতেও মিলেনি করোনার জীবাণু।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেন, শুধু গতানুগতিকভাবে এই গবেষণা চালানো হয়নি, প্রকৃত অবস্থা তুলে আনতেই গবেষণাটি চালিয়েছি। করোনার সময়ে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হাত ধোয়ার বিষয়টি দেখেছি। একইসঙ্গে আমাদের পানিতে করোনার কোনো অস্তিত্ব আছে কি না সেটি দেখতে আইসিডিডিআরবির সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি করা হয়। আশার কথা হলো, আমরা নিশ্চিত হলাম, ঢাকা ওয়াসার পানিতে করোনার জীবাণু নেই।
তবে করোনার সঙ্গে অন্যান্য কোনো ভাইরাস যাতে ওয়াসার পানিতে না থাকে সেই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, এখনও কিছু কিছু পানিবাহিত রোগ আছে। ঢাকায় যেসব পুরোনো পাইপ লাইন ছিল, সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। একটা এলাকায় যদি দুই হাজার মানুষ থাকে, সেখানে ২-৪ ইঞ্চি লাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেখানে ২০ হাজার লোক হয়ে যায়। তাই, এসমস্ত এলাকা চিহ্নিত করে তেমন পাইপ লাগাতে হবে। ওয়াসা যে পানি পরিশোধন করে সেটা শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু যে পাইপলাইন দিয়ে যায়, সেগুলোতেই সমস্যা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন