কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় দায়ের করা সাবু মিয়া (২০) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর এলাকার গোলাপ সর্দারের ছেলে আল আমিন সর্দার এবং একই উপজেলার চাপাইগাছি এলাকার আজিম প্রামাণিকের ছেলে বাপ্পী প্রামাণিক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাবু মিয়া বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে চাপাইগাছি এলাকায় একটি কলাবাগানের মধ্যে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। সাবুর পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেন। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ সাবুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত সাবু মিয়ার বাবা স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। প্রেমঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে সাবু মিয়াকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আসামিরা।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি দুই জনের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল হাশেম। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রেমঘটিত কারণে সৃষ্ট দ্বন্দে এই হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন