ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চাতলপাড়বাসী আবারো পড়েছে ধলেশ্বরীর ভাঙ্গনের কবলে। চাতলপাড় ইউনিয়ন ভাঁটি অঞ্চল। এখানে রয়েছে বড়বাজার ও চকবাজার নামে বহু পুরানো দুটি বাজার। পুর্বে দুইবার স্থানীয় সংসদ সদস্য আর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের জিও ব্যাগ ফেলে সমস্যা কিছুটা মোকাবেলা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর নতুন করে আবারও ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে চাতলপাড় চকবাজার, বড় বাজার ও বিলের পাড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার ওই সকল ব্যবসায়ী এবং পরিবারগুলোর দোকান, ঘর, বাড়ি, মসজিদসহ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে দিনাতিপাত করছেন তারা।
সরেজমিন নদী ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর নদীতে প্রবাহিত তীব্র স্রোতের কারণে নদী তীরের পানির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে সিলেট, সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে । ইতিমধ্যেই মসজিদ, বাড়িঘর ও কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অনেক পরিবার ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্থরা অনেকেই নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিচ্ছেন ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতীতেও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়ি ঘর-দোকান পাট। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখনো তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান ।
চাতলপাড়ের নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে বড় বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা খেলু মিয়া বলেন, নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর, দোকানপাঠ মসজিদ ভাঙ্গছে আর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কান্না কিছুতেই যেন থামছে না। চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদে এত বড় বাজেট নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে গেছেন।
তবে দিন দিন ভাঙ্গনের অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে স্থানীয়রা জানান। বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত থেকে বাঁচানো জোর দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোনাব্বর হোসেন ইনকিলাবকে জানান, আমি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানিনি, খুব দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন