বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন সহিংসতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজ (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের পরীক্ষা অনিবার্য কারণবসত বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। এদিকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্যে কেউকে আজ ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুইন নাদিম আল মুন্নাকে হল থেকে বের করে দেয় বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। পরে মুন্না গতকাল (৩০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর মার্কেটে আসলে সভাপতি গ্রুপের প্রায় ২০ জন তার উপর চড়াও হয়। মুন্নাকে কিল ঘুষি ও থাপ্পর মারলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ঘটনাটি জানতে পারলে পরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সভাপতি রিয়াদ গ্রুপের সদস্যরা লাঠিসোটা নিয়ে শামসুল হক হলের দিকে যায় তখন বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান গ্রুপের অনুসারীরা রিয়াদ গ্রুপের উপর ইট-পাটকেল ও লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ঈশা খাঁ হলের ৮-১০ জন সহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকালের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকেই এখনো মেডিকেলে ভর্তি আছে। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আজকের চলমান পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংগঠনের নের্তৃবৃন্দের সাথে কথা বলে চলমান সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা করবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন