শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সাভারে আরো একটি চামড়া শিল্প নগরী হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সাভারে আরও একটি চামড়া শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠা করা হবে। ২০০ একর জমির উপর এ শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রথম শিল্প নগরীতে সিইটিপি ও পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক সনদ পাচ্ছে না, বাজার ধরার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। নতুন শিল্প নগরীতে এসব সমস্যা সমাধান করে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।

গতকাল মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজিত ‘লেদার শিল্পের কোভিড-১৯ এর অভিঘাত মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইআরএফ এর সভাপতি শারমিন রিনভির সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন। বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশসের সভাপতি নাসিম মঞ্জুর, লেবার ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আবু ইউসুফ।

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, পশু কোরবানী করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে লবন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়, এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে চামড়া নষ্ট রোধ করা যাবে। তিনি বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সিইটিপি পরিবেশ সম্মত। সবগুলো প্যারামিটারে সিইটিপি আপ টু মার্ক। তবে একটি প্যারামিটারে কিছু সমস্যা আছে। সেটিও সমাধানে সচেতনতার সাথে কাজ করছি। যেসব প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট আছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের কাজ করা হচ্ছে। যারা এ ব্যাপারে কথা বলছে, সুনির্দিষ্ট কোনো কথা বলছে না। চামড়া শিল্পের সমস্যার সমাধান করে আমরা এই শিল্পকে দ্বিতীয় নয়, প্রথম শিল্প খাতে পরিণত করতে চাই।

কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে শিফ্ট করা হয়। একটি লম্বা সময় ধরে চেষ্টার ফলে এটা সাভারে স্থানান্তর করা হয়। তড়িঘড়ি করা হয়নি, তবে সিইটিপি পুরোপুরি রেডি হয়নি। এতে পরিবেশগত সমস্যা ছিল। চীনা একটি কোম্পানি সিইটিপি প্রস্তুত করছিল। কিন্তু তারা সেটা সময় মতো প্রস্তুত করতে পারেনি। পরবর্তীতে সিইপিটির কাজ অব্যাহত ছিল। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে ব্যাহত করলে সিইটিপি বাস্তবায়ন সমস্যা তৈরি হয়।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেছেন, আমাদের যথেষ্ট কাঁচামাল আছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য। এটা যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের বড় ধরণের কাজে আসবে। কিন্তু বেশ কিছু সমস্যা আমাদের আছে, এই সম্ভাবনাকে বাধা সৃষ্টি করছে। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে তহবিলের প্রয়োজন। ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে হাজারীবাগে যে জমি রয়েছে, সেগুলো বিক্রি করে তহবিল সংগ্রহ করে কাজ শুরু করতে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সিইটিপির কারণে যে সমস্যা হচ্ছে সেটি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হোক। সরকার যদি সিইটিপি আপ টু মার্ক করে দেয় তাহলে আমরা নিজস্ব ইটিপির ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি সিইটিটির ব্যয় নির্বাহ করবো।
লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, লেদার সেক্টর ইনফরমাল সেক্টরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রম আইনের ২৬ ধারার সুযোগ নিয়ে উদ্যোক্তারা কারখানা লে-অফ করে এই শ্রমিকদেরই ঠিকাদারদের মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছে। এটি চামড়া শিল্পে আগামীতে বিষফোড়ায় পরিণত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন