বন্যায় ফসলহানি থেকে স্থায়ী মুক্তির জন্য অবৈজ্ঞানিকভাবে হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্পে প্রতিবছর শত কোটি টাকা ব্যয় না করে নদী খননের মেগা প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের হাওরাঞ্চলের মানুষ। এজন্য আগামী বাজেটে সিলেট অঞ্চলের নদী খননে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) সিলেট নগরীতে ‘পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা’ আয়োজিত ‘হাওরবাসীর বাজেট প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সভায় জানানো হয় এমন দাবি।
সভায় আগামী বাজেটে হাওরের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাহা রাকিব এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা।
সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর দু’দফা বন্যায় ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাওরাঞ্চলে অন্তত ৫০ হাজার পরিবার। ২০১৭ সালের বন্যার পর যেভাবে বছরজুড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল, এবারও প্রয়োজন তেমন। একই সাথে আগামী মৌসুমের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদানের দাবি জানানো হয় সভায়। এজন্য বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ চান আয়োজকরা। হাওর এলাকার নদী ও কিছু বিল খননের জন্য ৫ বছর মেয়াদী ২০ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, এখাতে আগামী বাজেটে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। এছাড়া বক্তারা দুর্যোগ প্রবণ হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য শষ্য বীমা চালু, ধান চাল সংরক্ষণে হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণ গোডাউন নির্মাণ, হাওরের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অধিক হারে বৃক্ষরোপণ, বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমাতে বজ্র নিরোধক দন্ড বসানো, গভীর হাওরে আশ্রয় গৃহ তৈরি, হাওর এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা নৌকার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয় সভায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন