জবি প্রতিনিধি : পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে ঘড়ি কেনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ফটকে পাটুয়াটুলি লেনে এ ঘটনা ঘটে । এতে একজন পুলিশসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৯ম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী পাটুয়াটুলিতে ঘড়ি কিনতে যায়। এ সময় তারা খুচরা ঘড়ি কিনতে ‘সাইম টাইম এনটারপ্রাইজ’ দোকানে ঢুকে। পরে শিক্ষার্থীরা ঘড়ি কিনতে চাইলে ঐ দোকানে মালিক খুচরা বিক্রি করবে না বলে অসম্মতি জানান। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্রির জন্য জোর করলে তাদের মধ্যে বাগি¦তন্ডা শুরু হয় । এক পর্যায়ে আশপাশের ঘড়ি ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এসময় রনি, অর্নব, সাকিল, সজিব নামের চারজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহত চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে কোতয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা পাইকারী দোকানে খুচরা ঘড়ি কিনতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে তাদের ওপর ছাত্ররা হামলা চালায়। বিষয়টি অস্বীকার করে জবির শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা খুচরা ঘড়ি কিনতে চাইলে আমাদের ওপর ব্যবসায়ীরা অতর্কিত হামলা করে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং কোনো মামলাও হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড নূর মোহাম্মাদ বলেন, ঘড়ি কেনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যবসায়ীদের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন