হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় বৈরী আবহাওয়া ও সমুদ্র উত্তালের কারণে আটকা পড়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টায় জাহাজটি ভাসানচর থেকে রওনা হলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ১ ঘণ্টা পর পুর্নরায় ফেরত আসে।
ভাসানচর থানা ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে নৌবাহিনীর জাহাজে ভাসানচর এসে পৌঁছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। গতকাল শুক্রবার তার ভাসানচর ত্যাগ করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী দুপুর ১টায় জাহাজটি ভাসানচর থেকে রওনা হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে পুনরায় ফেরত আসে।
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল মোতাবেক গতকাল ভাসানচর ত্যাগ করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া ভাল থাকলে আজ সকালে ভাসানচর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গা সদস্যদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। রোহিঙ্গা কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচর অনেক ভালো আছেন বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এসে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নেয়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের চাপ সামলাতে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসমানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ত্রয়োদশ ধাপে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে ২৯ হাজার ১১৬ জন রোহিঙ্গা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন