বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জনসাধারণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমাতে হবে

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ৬:৪৬ পিএম

জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বহন করছেন জনসাধারণ, আর সরকার বহন করছে মাত্রা ২৩ শতাংশ। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে এমনভাবে বরাদ্দ দেয়া দরকার যাতে করে মানুষের ওপর স্বাস্থ্যব্যয়ের এই চাপ হ্রাস পায়। আজ বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয় এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ আয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক জাতীয় সংলাপ’ শিরোনামে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারিরা।

ঢাকায় ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত এই সভায় সম্মানিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাবিবে মিল্লাত, এমপি (সিরাজগঞ্জ-২), রুমিন ফারহানা, এমপি (মহিলা আসন-৫০), এবং শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি (গাইবান্ধা-১)। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। আলোচনার শুরুতে স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ে মূল নিবন্ধ অনলাইনে উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ে সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের থিমেটিক গ্রুপের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।

সরকারের অর্থবিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য এবং মাঠ-জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি মূল নিবন্ধ উপস্থাপন কালে ড. আতিউর বলেন যে, সরকারের স্বাস্থ্য বাজেটে বর্তমানে ঔষধ ও পচনশীল চিকিৎসা সামগ্রী বাবদ যে বরাদ্দ আছে তা যদি তিন গুন করা যায় এবং যদি উপজেলা পর্যায় থেকে কম্যুনিটি পর্যায় পর্যন্ত তিন ধরনের সরকারি সেবাকেন্দ্রে সকল শূন্যপদে দক্ষ জনবল নিয়োগ করা যায়, তাহলে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে জনসাধারণের অংশ ৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৫১ শতাংশ হতে পারে। তবে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি পুরো স্বাস্থ্যখাতেই সংস্কারে মনযোগ দিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

হাবিবে মিল্লাত, এমপি তাঁর বক্তব্যে স্বাস্থ্য খাতের জন্য মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে স্বাস্থ্যখাতের চাহিদাগুলো প্রতিফলিত করার ওপর জোর দেন। প্রতিবেশি ভূটান যেভাবে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে এবং ভারতে নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য যে স্বাস্থ্য বীমার উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশেও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পথে এগুনো দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন রুমিন ফারহানা, এমপি। শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি তাঁর বক্তব্যে দেশের পুরো জনগোষ্ঠির জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেবল সরকারি সেবাকেন্দ্রের ওপর না চাপিয়ে সরকার ও ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন। অন্যান্য বক্তারা স্বাস্থ্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দেয়া, ব্যক্তিখাতে স্বাস্থ সেবাদানকারিদের মান-নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য বাজেটের জেন্ডার-সংবেদনশীলতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে যথাযথ মনযোগ দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলো ধরেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন