২০-২৫ দিন আগেও রাজনীতিকে যতখানি বন্ধ্যা মনে হয়েছিল এখন আর তা মনে হচ্ছে না। সকলেই বলতেন যে রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে গেছে। রাজনীতি বলতে যেটা আছে সেটা হলো এক তরফা খেলা। একটি দল, অর্থাৎ শাসক আওয়ামী লীগই ব্যাটিং করে যাচ্ছে। মাঠে কোনো ফিল্ডার দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু গত ১৫/২০ দিনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে, রাজনীতির বন্ধ্যা সময় সম্ভবত পার হতে চলেছে। বলা বাহুল্য, বেশ কয়েক বছর থেকেই বাংলাদেশে দ্বিদলীয় রাজনীতি চলছে। একদিকে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে বিএনপি। জেনারেল এরশাদের পতনের পর রাজনীতি হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পেয়েছিল। এরশাদের ৯ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং বামপন্থীরা আন্দোলন করেছিল। দলগুলি নিজ নিজ মঞ্চ থেকে হলেও যুগপৎ আন্দোলন করছিল। তারই ফলে গণঅভ্যুত্থান ঘটে এবং এরশাদের পতন হয়। এরশাদের পতনের পর সর্বপ্রথম নির্বাচন এবং সরকার গঠন নিয়ে বিরল ঐক্যমত দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠলো, এরশাদের তো পতন হলো। এর ফলে যে বিশাল রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হলো সেটি পূরণ হবে কিভাবে? তখন আন্দোলনরত দলগুলো এই মর্মে ঐকমত্য পোষণ করলো যে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচনে যে দল বা গোষ্ঠি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে তারাই সরকার গঠন করবে। এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জাস্টিস সাহাবুদ্দিনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হয়। যে প্রক্রিয়ায় বা যে ফর্মূলায় এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় সেটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে আমরা মূল পয়েন্ট থেকে হারিয়ে যাবো। তাই শুধু এটুকু জানলেই হবে যে, জাস্টিস সাহাবুদ্দিন যে, সরকার গঠন করবেন সেটি হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচন পরিচালনার পর যখন সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে গণাতন্ত্রিক বা দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন তার পূর্বতন পদে অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাবেন। বাস্তবেও তাই হয়েছিল। নতুন রাজনৈতিক তথা গণতান্ত্রিক সরকার অর্থাৎ নব নির্বাচিত বিএনপি সরকার বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ত্রিদলীয় ঐক্য জোটের ফর্মূলা মোতাবেক প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার বাতিল করে সংসদীয় সরকার চালু করে।
এজন্য এসব কথা বলছি যে, ১৯৯০ সালের আন্দোলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা এবং এরশাদ বিরোধী আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিরোধী দলসমূহ নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে যুগপৎ আন্দোলন পরিচালনা করে। এখানে আরেকটি কথা বলা দরকার যে, বিএনপি সরকারের আমলে মাগুরার একটি উপ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সমস্ত সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। অতঃপর তারা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ভবিষ্যৎ নির্বাচন পরিচালনার দাবীতে রাজপথে আন্দোলন শুরু করেন। রাজপথের আন্দোলন এত বেগবান হয় যে, বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার সংবিধান সংশোধন করে কেয়ারটেকার সরকার গঠনের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। জয়ী হওয়ার পর তারা কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থাতেই আরেকটি সংসদ নির্বাচনের দাবী করা হয়।
॥দুই॥
আজ ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে অতীতের এই কথাগুলো মনে পড়ছে। রাজনীতির গতিধারা দেখে মনে হচ্ছে, সেই বহুল প্রচারিত প্রবাদটি, ঐরংঃড়ৎু ৎবঢ়বধঃং রঃ ংবষভ. অর্থাৎ ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি করে। এখন ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি করবে কিনা জানি না, কিন্তু শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে, ’৯০ এর পথেই দেশ ধাবিত হচ্ছে। তবে এখানে একটি ছোট্ট ‘কিন্তু’ আছে। আর সেটি হলো, আওয়ামী লীগ যেভাবে রাজপথ উত্তাল করে দাবি আদায় করতে পারে, বিএনপি কি সেটি পারবে? আমরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করছি না। তবে মনে প্রশ্নটি এজন্য উদিত হয়েছে যে, তখন এরশাদ তথা জাতীয় পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত সম্মিলিতভাবে সংগ্রাম করেছিল। অতীতে এদেশের জনগণ দেখেছে যে, রাজপথ সব সময়ই আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। সেটা আওয়ামী লীগ সরকারেই থাকুক, অথবা বিরোধী দলেই থাকুক না কেন।
২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ’৯০ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। প্রথমে বিএনপি নিজে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, দলীয় সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচন করবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে তারা এই সরকারের পতন ঘটাবে। বিএনপি প্রকাশ্যে না হলেও তার আচার আচরণ থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, একা একা আন্দোলন করে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। তাই তারা সমস্ত বিরোধী দলের ঐক্য চাচ্ছে। এবার সিপিবি বা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাসদও দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন চায় না। তারাও আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন চায়। এবং পতনের পর একটি নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। বিএনপির দাবীর সাথে এই দুইটি বাম দলের দাবীর কোনো ফারাক নাই। কিন্তু তারপরেও তারা প্রকাশ্যে বলেছে যে, তারা বিএনপির সাথে সরকার বিরোধী কোনো জোট বাঁধবে না। মনে হচ্ছে, ’৯০ এর মতই তারা আলাদা মঞ্চ থেকে আন্দোলন করতে চায়। বাম দলীয় জোট বলে এদেশে একটি জোট আছে। এই জোটে সিপিবি এবং বাসদ ছাড়াও সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা ঐ জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে। সে কথায় এখন আসছি।
এই মুহূর্তে রাজননৈতিক দৃশ্যপটের চিত্রটি কি রকম? গত নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে দুটি জোট ছিল। একটি ২০ দলীয় জোট। অপরটি জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় এবং তারেক রহমান দন্ডিত হয়ে বিদেশে থাকায় ড. কামাল হোসেনকে আমদানি করে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান করা হয় এবং দুর্বোধ্য কারণে বিএনপি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নেয়। নির্বাচনে কামাল হোসেনকে নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। সেই খেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিএনপি তাদের ঘাড় থেকে কামাল হোসেনকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ২০ দলীয় জোট আছে, আবার নাইও। কারণ ২০ দলীয় জোট বা ঐক্যফ্রন্ট কাউকেই অফিসিয়ালি বিলোপ করা হয় নাই। কিন্তু এগুলো মৃতপ্রায় এবং এক অর্থে অস্তিত্ববিহীন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কয়েকদিন আগে ৭ টি মধ্যবাম এবং উদারনৈতিক দলকে নিয়ে একটি নতুন জোট গঠিত হয়েছে। জোটটির নাম, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। গণতন্ত্র মঞ্চে রয়েছে, আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ এবং রাষ্ট্র চিন্তা।
বিএনপি এখন সমস্ত বিরোধী দলের সাথে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে প্রতিটি দলের সাথে আলাদা করে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই তারা প্রথমে মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, লেবার পার্টি এবং জেনারেল ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টির সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। এই প্রক্রিয়ায় তারা সবকটি বিরোধী দলের সাথেই আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবে। এসব বৈঠক শেষ করে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করে আন্দোলনের রূপরেখা জনগণের সামনে পেশ করতে কতদিন সময় লাগবে সেটি সম্পর্কে কেউই কোনো ধারণা দিতে পারছেন না। তবে যে ৫টি দলের সাথে বিএনপির ইতেমধ্যেই আলোচনা হয়েছে সেখানে কয়েকটি পয়েন্টে পূর্ণ মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পয়েন্টগুলি হলো, এক মঞ্চ থেকে হোক বা আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকে হোক, যুগপৎ আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটানো। এই সরকারের পতনের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। সেই সরকার বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশন দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
বিএনপির এই ঐক্য প্রক্রিয়া দেখে আওয়ামী লীগ আর সময় ক্ষেপণ করেনি। তারা ২০১৮ সালের ১৪ দলীয় জোট পুনরুজ্জীবিত করেছে। শুধু তাই নয়, তারা তাদের আগের ফর্মে ফিরে গেছে। গত ২২, ২৪ ও ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের মিছিল প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়েছে, ছাত্রদলের ৫০ জন নেতাকর্মীকে বেদম পিটিয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী, বগুড়া, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা সহ প্রায় ১০টি জেলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের সভা সমাবেশ ও মিছিলের ওপর হামলা করেছে এবং তাদের সমাবেশ প্রচেষ্টাকে বানচাল করেছে। ছাত্রলীগ যেভাবে ছাত্রদলকে পিটিয়েছে সেটিকে আওয়ামী লীগ অভিনন্দিত করেছে। একই সাথে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে যে, তারা এই মুহূর্ত থেকেই রাজপথের দখল নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের বেদম প্রহারের পর গত ৩ জুন তারা ছাত্রদলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে। তবে পুলিশ ছাত্রদলকে বলেছে যে, তারা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।
ঢাকার একশ্রেণীর পত্রপত্রিকা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এবং নির্বাচন নিয়ে জল্পনা কল্পনার তুমুল ফানুস ওড়াচ্ছে। আমি ঐসব জল্পনা কল্পনায় যাবো না। কঠোর বাস্তববাদী হিসাবে পাঠকের সামনে ঋড়ড়ফ ভড়ৎ ঃযড়ঁমযঃ বা চিন্তার খোরাক হিসাবে একটি বিষয় পেশ করছি। সেটি হলো, বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ৭টি দল ধনুর্ভঙ্গ পণ করেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এবং দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতেও দেবে না। তারা এই সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকার চায়। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগও ধনুর্ভঙ্গ পণ করেছে যে, কোনো অবস্থাতেই বিএনপি তথা বিরোধী দল সমূহের দাবী মানবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধ পরিকর।
দুই দলের এই অনঢ় অবস্থান দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে? তবে তার আগে একটি প্রশ্ন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে, এই তীব্র সংকটের সমাধান হবে রাজপথে। কিন্তু রাজপথে বিরোধী দলসমূহ কি আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে পারবে? কেউ কেউ অবশ্য বলতে চান এবং ৩রা জুনের একটি দৈনিকে খবরও বেরিয়েছে যে, বিদেশি শক্তি, বিশেষ করে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আমি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে এই ফরেন ফ্যাক্টরের ওপর তেমন গুরুত্ব দেই না। কারণ, ভেনেজুয়েলা সরকারের পতনের জন্য আমেরিকা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নাই। বাংলাদেশেও পারবে বলে মনে হয় না। আর সেভাবে হস্তক্ষেপের কোনো সম্ভাবনাও আছে বলে মনে হয় না। এছাড়া এখানে ভারত ও চীন ফ্যাক্টর রয়েছে। কিন্তু এসব ফরেন ফ্যাক্টর বাংলাদেশে ততখানি কার্যকর হবে বলে মনে হয় না। আমার ব্যক্তিগত মতে, ঐসব ফরেন ফ্যাক্টর পাশে রেখে দিন। ফয়সালা হবে রাজপথে। এখন পর্যন্ত রাজপথে আওয়ামী লীগকেই যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে হয়। অবশ্য রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই। এছাড়া নির্বাচনের আরও ১ বছর ৭ মাস বাকি রয়েছে। এমনও তো হতে পারে যে এরমধ্যে বুড়িগঙ্গার নীচ দিয়ে অনেক পানি গাড়িয়ে যাবে।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন