ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর পাড় থেকে ভারতীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পরশুরাম থানার পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার মুহুরী নদীর পাড়ে একটি গাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এসময় তার পরনের শাড়ী গলায় পেচানো ছিল। তবে ভারত থেকে তিনি কিভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস। সে ভারতে ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ্র দাসের স্ত্রী। পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে দুবলাচাঁদ এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে একটি গাছের সাথে অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেন। কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন সুরেন্দ্র দাসের আগের সংসারের মেয়ে প্রভারানী দাস।
প্রভারানী দাস জানান, তার মা হিরনী রানী দাস ত্রিশ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার বাবা ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘর সংসার শুরু করেন। তারপর থেকে ওই পরিবারের সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই নিহত নারীর স্বামী সুরেন্দ্র দাস প্রায় ত্রিশ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘরসংসার শুরু করেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরতি রানীর স্বামীর বাড়ী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। নিহত আরতি রানী দাসের স্বামী সুরেন্দ দাস মারা যান বলে জানা গেছে। তবে কবে মারা গেছে তারা তা জানেন না।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে ভারতীয় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বর্তমান ঠিকানা ভারতে, কিন্তু তিনি কিভাবে বাংলাদেশে এসেছেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে নিহত ভারতীয় নারী কি আত্মহত্যা করেছে, নাকি অন্য কোন ঘটনা; ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন