কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে ইমরান রশিদ নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে একজনের আমৃত্যু ও দুই আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হল- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার জমশের আলীর ছেলে জিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হল- একই এলাকার আসান আলীর ছেলে মোস্তফা এবং শাকদহর চর এলাকার ইবাদত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর। জিয়া ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে পলাতক। তবে রায় ঘোষণার সময় মোস্তফা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিলন, আহসান এবং জসিম নামে তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহর চর এলাকার বাদশা মাস্টারের ছেলে ইমরান রশিদ ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খাবার খাওয়ার পর প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আশরাফুলের বাড়িতে যান। সেখানে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই বাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে আসামিরা দল বেঁধে অস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে যান এবং তার খোঁজ করেন। এসময় ইমরানের পরিবারের লোকজন আসামিদের জানান, ইমরান তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। এ কথা শোনার পর আসামিরা ইমরানের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যান এবং ইমরানকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে বুকে গুলি করে হত্যা করে।
আসামিরা চরমপন্থী দলের সদস্য এবং চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় এবং পূর্বশত্রুতার জেরে ইমরানকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরদিন ২২ নভেম্বর নিহত ইমরান রশিদের ছোট ভাই হুমায়ুন রশিদ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন