পশ্চিমা দেশ এবং এশিয়া মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়েছে। দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহারের হার অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এটি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স লেনদেন ৭২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ই-কর্মাস অনলাইনে কেনাকাটার ওয়েবসাইট কেমু বাংলাদেশের এক জরিপের ফলাফলে এমনটি দাবি করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি ক্ষণস্থায়ী প্রান্তিকে ই-কমার্স লেনদেন সূচকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ই-কমার্সের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দেশ বাংলাদেশ। এখানে বিপুল সংখ্যক তরুণ রয়েছে। একইসঙ্গে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক বেশি। ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশের বাজার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনেও লাভবান হবে বাংলাদেশ।
ভোক্তার সঙ্গে খুচরা বিক্রেতার যোগাযোগ ক্ষমতার ওপর আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সের টেকসই প্রবৃদ্ধি, দ্রুত সম্প্রসারণ নির্ভরশীল। তাই যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ডিএইচএলের মতো কুরিয়ার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও সরাসরি ভোক্তাদের কাছে সেবা দিতে ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগ করছে। ডিএইচএল জানায়, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের উদীয়মান ই-কমার্স বাণিজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে ই-কমার্স সাইটগুলো ক্রমাবর্ধমান ক্রেতার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য কার্যকর চালান এবং গুদাম ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে হবে। ভবিষ্যতে সর্বোত্তম পরিবহন, উন্নত বিতরণ অভিজ্ঞতা, বিক্রয় আদেশ ব্যবস্থাপনা, পণ্যের দৃশ্যমান তালিকা এবং আয় ব্যবস্থাপনার ওপর ই-কমার্সের সফলতা নির্ভর করবে। একইসঙ্গে উদীয়মান অনলাইন বাজারের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রত্যেক ক্রেতার জন্য সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২৮ শতাংশ। এশিয়া মহাসাগর অঞ্চলের দেশ চীন, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৫ সালে অনলাইনে মোট ৭৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। যা ইউরোপ ও আমেরিকার মোট অনলাইন বাণিজ্যের সমান। বাংলাদেশের মতো ই-কমার্স খাতে উদীয়মান কয়েকটি দেশে এ খাতের প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন