টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ এর বিরুদ্ধে উপজেলা যুবলীগের এক নেতাকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত আটটায় উপজেলা যুবলীগের সদস্য তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার ওরফে টিটু মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় টিটুর মামা শিহাব উদ্দিন, চাচাত ভাই আব্দুল কাদের ও ময়নাল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিটু তার বক্তৃতায় বলেন, বুধবার বিকেলে কুর্ণী বাজারে আব্দুর রউফ এর নির্বাচনী সমাবেশ ছিল। সমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর বক্তৃতা চলাকালে টিটু তার বক্তব্য ভিডিও করছিলেন। বিষয়টি আব্দুর রউফ মীর এনায়েত হোসেনের বক্তৃতা চলাকালীন সময়ই তাঁকে জানান। তখন মীর এনায়েত হোসেন মাইকেই বলেন ভিডিও করলে কোন সমস্যা নেই। এরপর টিটু ভিডিও করতে থাকেন। একটু সময় পরে আব্দুর রউফ মঞ্চ থেকেই টিটুকে ধরার জন্য তাঁর সমর্থকদের নির্দেশনা দেন। এসময় যুবলীগ নেতা বলেন, আমাকে ধরে নিতে হবে না। আমি নিজেই মঞ্চে আসতেছি। এ কথা বলে তিনি মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছালে আব্দুর রউফ মঞ্চ থেকে নেমে টিটুর গেঞ্জি টানা হেঁচড়া করে ছিড়ে ফেলেন। তিনি তাঁকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দিতে থাকেন। এসময় আব্দুর রউফের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলামিন মিয়াও (২২) তাঁকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পরে উপস্থিত ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ দৌড়ে এসে টিটুকে সরিয়ে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে টিটু জানান, আব্দুর রউফ ও তাঁর ছেলে তাঁকে মারধোর করে একটি মুঠোফোন ও পকেট থেকে ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় ফোন ফেরত পেলেও তিনি টাকা পাননি।
মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমি মারবো কেন। হেনে উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত, ব্যাকেই উপস্থিত।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, এত মানুষের ভীড়ে কে কাকে মারছে তা তিনি জানেন না। টিটুকে তিনি চিনেন না। মারামারির পর তিনি টিটুকে চিনেছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, সমাবেশে বক্তৃতার ভিডিও করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে শুনেছি। মারধোর ঘটনা তিনি জানেননা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন