দেশের আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার দাবী পুরণ করার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আলেম সমাজের প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ডুবতে বসেছে ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অনিয়মের কারণে। নৈতিকতা শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি এখন ভিসি ও তার ঘনিষ্ঠ অনুসারিদের অনিয়ম, জালিয়াতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসির অনিয়ম, গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ দেশের ওলামা-মাশায়েখকে বিষ্মিত ও লজ্জিত করেছে। আর এসব অভিযোগের প্রমাণও পাচ্ছে উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ভিসির বিরুদ্ধে উঠা অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে রীতিমত অনিয়মের পাহাড় খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আর একারণে প্রথমবার তদন্ত শেষে আবারও দ্বিতীয় তদন্ত শুরু করেছে ইউজিসি। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম তদন্তের দায়িত্বে থাকা মঞ্জুরি কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ যা অবিশ্বাস্য। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রতিটি অনিয়মের প্রমাণও পাচ্ছে তদন্ত কমিটি। প্রথম দফায় যেসব প্রমাণিত হয়েছিল তার চেয়ে এবার আরও বড় বড় অনিয়মের প্রমাণ মিলছে।
জানা যায়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আহসান উল্লাহ ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিয়োগের ক্ষেত্রে এলাকা, দলীয় প্রীতি সর্বাগ্রে রেখেছেন। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তার নিজের এলাকা চট্টগ্রাম থেকে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে গিয়ে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করেছেন। বিজ্ঞপ্তি প্রদানের আগেই দিয়েছেন নিয়োগ। আবার যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে কর্মকর্তাদের ১০-১৫ লাখ এবং কর্মচারীদের ৫-১০ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১১২ জনের একটি নিয়োগ থেকেই হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে ভিসির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ভিসিকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন সিন্ডিকেট সদস্য ও ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. হাসান মাসুদসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। এর মধ্যে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র হাসান মাসুদই যিনি দ্বিতীয় দফায় সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে ভিসির যেকোন অনিয়মে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা পাওয়ায় ভিসি তাকে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রথম দফায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ’র অনিয়ম নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কমিটিতে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে ভিসিকে চিঠি দেয়া ইউজিসি।
ভিসির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
ইউজিসির পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতেই ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ চট্টগ্রাম বাকুলিয়া থানার জামায়াতে ইসলামির ১৩ নং ক্রমিকের রুকন। তিনি এখনও ভিতরে ভিতরে জামায়াতে ইসলামির সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত জোট সমর্থিত প্যানেলে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনেও একজন প্রার্থী ছিলেন। সকল কাজে সকল বিষয়ে জামায়াতি আদর্শ ও তাদের নেতাদের সাথে শলাপরামর্শ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন।
ইউজিসির চিঠিতে বলা হয়, তিনি ধর্ষণকারী হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত। চট্টগ্রামে দুটি মাদরাসায় চাকরি করার সময় ধর্ষণের অপরাধে জুতা পেটা করা হয়েছিল তাকে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে একটি শিশুকে বলাৎকার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন এবং জনগণের হাতে লাঞ্চিত হন। যা বিভিন্ন ডিজিটাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। অভিযোগের পক্ষে প্রমাণসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাম্পট্যের অভিযোগে অভিযুক্ত ড. আহসান উল্লাহর অপসারনের দাবিতে মানববন্ধনও করা হয়।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস জাকির হোসেনকে অবৈধভাবে বয়স ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তার মাধ্যমে নাহিদ সাহেবের নিকট থেকে আনুকূল্যতা নিয়ে অনেক অপকর্ম করেছেন। যথাযথ নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই বিধিবহির্ভূতভাবে মো. জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসির একক সিদ্ধান্তে মো. জাকির হোসেনকে নিয়োগপত্রে নিয়োগের ধরণ, শর্ত এমনকি বেতন স্কেল কোন কিছুই উল্লেখ না করে অস্থায়ীভিত্তিতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত চাকরির নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ্র প্রার্থীকে যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং শিক্ষা জীবনে সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণী/সমমান গ্রেড থাকতে হবে ” ও অভিজ্ঞতা “ প্রার্থীকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শর্ত থাকা সত্ত্বেও জাকির হোসেনের একটিতে অর্থাৎ স্নাতকে ৩য় শ্রেণী এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন ছেলের ৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ পদে কমপক্ষে ৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি সহকারী রেজিস্ট্রারের শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত হিসেবে উল্লেখ করেছে ইউজিসি।
বিএনপি সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুকের আত্মীয় ও শিবির ক্যাডার ড. আবু হানিফাকে অবসর সুবিধা বোর্ডে মূল্যায়ন কর্মকর্তা হিসেবে ওসমান ফারুকের সুপারিশে কোন বিজ্ঞপ্তি বা নিয়ম নীতি ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে ভিসি তার একক ক্ষমতাবলে নিয়োগদান করে তার মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য, বাড়িভাড়া ও যাবতীয় ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সরকার মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দীন এ সকল অনৈতিক ও অবৈধ নিয়োগের বিরোধিতা করায় তাকে সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে বাদ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, অবসর সুবিধা বোর্ডের আবু হানিফার নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি বলে বোর্ড গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যার প্রধান ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম জাকির হোসেন। এতসব জেনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবু হানিফাকে একক ক্ষমতাবলে ও অবৈধভাবে নিয়োগ দেন। ইউজিসি জানিয়েছে কোন বিজ্ঞপ্তি বা নিয়ম নীতি ছাড়াই অবৈধভাবে আবু হানিফাকে প্রেষণে উপ-রেজিস্টার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের কোন কাগজপত্র এবং পর্বতন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র ছাড়াই অর্থাৎ চাকরির নির্ধারিত শর্ত পরিপালন ছাড়াই ড. আহসান উল্লাহ একক সিদ্ধান্তে স্থায়ী উপ-রেজিস্টার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। যেহেতু যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের কোন কাগজপত্র এবং পূর্বতন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি, তাই তার পূর্বতন প্রতিষ্ঠানের চাকরিকাল গণনার সুযোগ নেই। কোন প্রয়োজন ছাড়াই বছিলায় ৪ টি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আবু হানিফার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সিন্ডিকেট কিংবা অর্থ কমিটির কোন পূর্ব অনুমোদন নেননি।
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের বিনিময়ে ১০ কোটি টাকার বাণিজ্য:
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগে ৫২ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১২ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিন দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেও পছন্দের প্রার্থী আগে থেকেই চূড়ান্ত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেতে প্রত্যেক প্রার্থীকে দিতে হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। আর কর্মচারী পদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। মূলত এসব অস্থায়ী প্রার্থীদেরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। এমনকি পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তে বয়স শিথিল করা হহয়। আর অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া ১১২ জনের মধ্যে ২৭ জনের বাড়িই চট্টগ্রামে। সংশ্লিষ্টরা জানান ভিসির বাড়ি চট্টগ্রামের কক্সবাজারে। তাই এই জেলা থেকেই নেয়া হয়েছে বেশির ভাগ প্রার্থী । চাকরির কোটা না মেনে আগেই ১১২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে অ্যাডহক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পদ অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এসব অভিযোগের পক্ষে প্রমাণস্বরুপ পাওয়া গেছে- সেকশন অফিসার পদে অতিরিক্ত ১৭ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সহকারী প্রোগ্রামার পদে অতিরিক্ত ২ জন, অডিট অফিসার পদে অতিরিক্ত ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অতিরিক্ত ১৩ জন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে অতিরিক্ত ১ জন, ফটোমেশিন অপারেটর পদে অতিরিক্ত ১ জন, অফিস সহায়ক পদে অতিরিক্ত ৭ জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে অতিরিক্ত ১ জনসহ মোট ৪৩ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ দিয়েছেন ভিসি। ১৩ জন সেকশন অফিসার পদে মেধা তালিকায় থাকার পরও তাদেরকে বাদ দেয়া হয়, ১১ জন যারা সেকশন অফিসার পদে মেধাক্রমে ছিলেন তাদেরকে সহকারী রেজিস্ট্রার/সহকারী পরিচালক/সমমান পদের অনুকূলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের নিয়োগ ন্যায়সঙ্গত হয়নি তথা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত। এছাড়া , তদন্ত কমিটি অফিস সহায়ক পদ প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্তসহ সব কাগজপত্র দু’দফায় চাওয়ার পর জানানো হয় অফিস স্থানান্তরের কারণে নম্বরপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নম্বরপত্র পাওয়া গেলে তা সাথে সাথে প্রেরণ করা হবে। তবে আজ অবধি কোন প্রকার কাগজপত্র পায়নি ইউজিসি।
দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের কোন প্রকার বয়স উল্লেখ না করে এবং পরবর্তীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিল করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে যা কোন অসৎ উদ্দেশ্যে করা হতে পারে বলে কমিটি মনে করে।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ও ১২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মতামত/ সুপারিশ প্রদানে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়া সত্ত্বেও তাঁকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনদিন ডাকা হয়নি ।
অন্যদিকে নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্মকাণ্ডে ভিসির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা মো. হাসান মাসুদকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি ড. আহসান উল্লাহ বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলো সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে যে শর্ত দেয়া ছিল সেটি মেনেই নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ তিনি একা দেন না সিন্ডিকেট সভা অনুমোদন করে বলে জানান।
ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আমরা অনেক বিষয় প্রমাণ পেয়েছি। তবে যেহেতু এখন তদন্ত চলছে তাই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না।
২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদে যোগদান করেন ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হলে সরকার দ্বিতীয় দফায় তাকে পুনরায় নিয়োগ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন